পেপারলেস সেবার মাধ্যমে দোরগোড়া থেকে হাতের মুঠোয় পৌঁছানোর পর এবার সরকারের কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জবাদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করতে বিশ্ব গণতন্ত্র দিবসে বৃহস্পতিবার ‘জনতার সরকার’ উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে উন্মুক্ত হওয় সিটিজেন ইন্টারেক্টিভ ওয়েব ঠিকানা https://janatarsarkar.gov.bd/।
সরকারের একমুখী ডিজিটাল সেবাগুলো উভমুখী করতে ‘জনতার সরকার সিটিজেন ইন্টারেক্টিভ ওয়েব পোর্টাল’ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গণতান্ত্রিক চর্চাকে বিকশিত করে উন্নত গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে এই টুল তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ গঠনমূলক সমালোচনা বা পরামর্শ কিংবা সুপারিশ করতে পারবে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানাবে। জনগণের এই সেন্টিমেন্টগুলো আপতত প্রতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ ও সচিবদের কাছে পাঠানো হবে।
ইতিমধ্যেই এই পোর্টালে যুক্ত হয়েছে সরকারের ১১টি মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে ৫৬টি মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করে এই প্রতিবেদনটি প্রতিদিন একবার সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছে দোয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দেশের ১১ হাজার দপ্তরের ১ লাখ কর্মকর্তা এখন ই-নথি ব্যবহার করছে। দুই বছরের ১৬০০ বৈঠক ডিজিটালি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ‘মাইগভ’ অ্যাপের মাধ্যমে মানুষের হাতের মুঠোয় এসে গেছে সাড়ে ৬ শ’সরকারি সেবা। করোনার সময়ে ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা সম্পাদিত হয়েছে।
‘এগুলো হয়তো চোখে দেখা যায় না; অক্সিজেনের মতো। কিন্তু এর উপকার আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু ভোগ করি’- যোগ করেন পলক।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল সেবা বা সফটওয়্যার চোখে দেখা যায় না কিন্তু তার সুফল আমরা সবাই পাই। এই যেমন ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা ৯৯৯ জরুরী নম্বরে ফোন করলেই পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স জীবন রক্ষা করার জন্য হাজির। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এই সেবাটি আর কেউ ভাবেনি। ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও সজীব ওয়াজেদ জয় ভাই। এর ফলে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ সেবা পাচ্ছে। কত বোনের সম্ভ্রম রক্ষা হচ্ছে। কত মানুষের জীব রক্ষা পেয়েছে। কত জেলে সাগরে হারিয়ে গেলে তাদের জীবন রক্ষা সম্ভব হয়েছে। এভাবেই শেখ হাসিনা সরকার দিন রাত ২৪ ঘণ্টা জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছে”।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অধিদপ্তর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, সংসদ সদস্য নাহিদ এজহার খান এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জিত কুমার, ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার জনতার সরকার পোর্টাল ও সরকারের ই-মেইল সেবার প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম, এটুআই ও ইউএনডিপি প্রতিনিধিরা।