বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস সেন্টার স্থাপনের পাশাপাশি সাইবার সুরক্ষা এবং উভয় দেশের মধ্যে আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল সল্যুশন তৈরিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ইতিমধ্যেই দ্বিপাক্ষিক ডিজিটাল লেনদেন প্লাটফর্ম (ডিটিপি) চালু করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশটি। আর তা বাস্তবায়নে এই প্রস্তাবনাটি এরই মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার আইসিটি টাওয়ারে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই তথ্য দেন মন্ত্রী। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো নিবিড় করতে নানা বিষেয়ে আলোকপাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী।
ঘণ্টাব্যাপী দ্বি-পাক্ষিক এই বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বৈঠকে হাইটেক পার্কগুলোর কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এসময় দেশের ৬৪টি জেলায় বাংলাদেশ-ভারত এডুকেশন সেন্টার স্থাপনের অগ্রগতি এবং স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে ঐক্যমত প্রকাশ করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে আগরতলা সফরের ইতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখন সময়টা পারস্পরিক সহযোগিতার। গত সফরে আমি বেশ কিছু বিষয় শিখেছি। আমি চাই আগামীতে আমাদের এই ধরনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় আরো বাড়বে। আমাদের অংশীদারিত্বকে আরো অটুট হবে।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ বন্ধুপ্রতিম পরীক্ষিত দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সফটওয়্যার কমিউনিকেশন ও ডিজিটাল ট্রাঞ্জেকশন কমিউনিকেশন এবং স্টার্টআপ ও এড্যুকেশন ক্ষেত্রে আমাদের যোগাযোগ আরো বাড়ানো প্রয়োজন।
অপরদিকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাই স্বামী বলেন, আমাদের মধ্যে বিদ্যমান মধুর সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে বাংলাদেশের সঙ্গে স্টার্টআপ, সাইবার সুরক্ষা এবং ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট সিস্টেমের মতো ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তি নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। বাণিজ্যিক ভাবে সফল সল্যুশন নিয়ে আসতে চাই। এটা খুবই সম্ভব। তাই একসঙ্গে আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।