ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিকে স্বচ্ছতার প্রতীক বলে বর্ণনা করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।
শনিবার (২৮ মে) দুপুরে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ভোটাররা যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ না দেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য কেউ তার ব্যালট পেপারে সীল মারতে পারবে না। এছাড়া এবারই প্রথম ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। প্রিজাইডিং অফিসারের পেছনেই থাকবে সিসি ক্যামেরা। ভোটকেন্দ্রে কে ঢুকছে আর বের হচ্ছে সেটাও দেখা যাবে ক্যামেরাতে। এসব সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হবে ঢাকা থেকে।
ইভিএম পদ্ধতির ইতবাচক দিক তুলে ধরে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব আরও বলেন, কোনো ইশারা বা ওহি নির্বাচনের মাঠে কাজ হবেনা। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, সুন্দর, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে শতভাগ গ্যারান্টি দিচ্ছে। নির্বাচনে কোনো আঁচড় দিলে সেটা কমিশনের গায়ে লাগবে।
নির্বাচনের সমতল মাঠ তৈরীতে ভোটের সঙ্গে জড়িত সিভিল প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও অন্যান্যদের ইমানের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম।
স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আবু আনছার। উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নিয়োজিত রিটার্নিং অফিসার তারেক আহমেদ, মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার দোলন কান্তি চক্রবর্তী, গাংনী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মেহেদী হাসান প্রমুখ।
আগামী ১৫ জুন মেহেরপুর পৌরসভা, সদর উপজেলার আমঝুপি, শ্যামপুর, বারাদী ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।