১৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নতুন সূর্যোদ্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে বরণ করে নেয়া হবে বাংলা নববর্ষ- ১৪২৯। আর নববর্ষের আবহ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে হলেও এর ভিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমেই গ্রথিত। কেননা বাংলার ফসলি সন থেকেই এর উদ্ভব। ফলে নববর্ষ শব্দের সঙ্গে প্রথাগত ভাবেই মিশে আছে মিষ্টি আর লাল কাপড়ে মোড়া হাল খাতা। বাকি মিটিয়ে নতুন বছরের পদযাত্রা।
তবে ব্যসায় ক্ষেত্রে ডিজিটাল ছোঁয়া লাগায় এই হালখাতার জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে ই-হিসাবের অ্যাপ্লিকেশন। দেশে এক্ষেত্রে একচ্ছত্র আধিপত্য এখন ‘ট্যালি’ সফটওয়্যারের। অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হচ্ছে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানার (ইআরপি) ঘরানার ক্লাউড সফটওয়্যার ‘বিজআরপি’, ‘স্টাক’, ‘ফ্রেশবুক’, ‘সেজ’, ‘জিরো’ ছাড়াও আরো বেশ কিছু সল্যুশন । আছে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ‘হিসাব খাতা’, ‘জিএনইউক্যাশ’, ‘এস ম্যানেজার’, ‘সহজে সেলস’ ইত্যাদি।
ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যেমে এই সল্যুশনগুলো ব্যবসায়িদেররকে পন্যের ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে স্টক, বাকী, সাপ্লায়ার বা ডিলারের হিসাব দিয়ে দেয়। এমনকি হিসাব শেষে দেনাদারের কাছে এসএমএসও পঠিয়ে দেয় স্বয়ংক্রিয় ভাবে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে হিসাব রাখার পাশাপাশি এখন নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডও ছাপা প্রায় বন্ধ। বছরের শেষ দিন থেকেই মুঠোফোন কিংবা মেইলে চলে ডিজিটাল কার্ড বিনিময়ে শুভেচ্ছা ও নিমন্ত্রণের কাজ। ফোনেই জানানো হয় বাকির কথা, ছাপানো হয় না হালখাতার কার্ড। ইমোজি পাঠানো হয় হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো’র মতো যোগাযোগ অ্যাপগুলোতে। ডুডলে শুভেচ্ছা জানায় গুগল।
আগের মতো আর কাগজ আর বেলুন দিয়ে সাজানো হয় না দোকান। এর বদলে নিজেদের ই-দোকানে নববর্ষের গ্রাফিক্স দিয়ে ক্রেতাদের স্বাগত জানান ব্যবসায়ীরা। এখন নববর্ষ মানেই যেনো ফেসবুক, ভাইবার, ইমো, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম। মোবাইলে ফোনকল, এসএমএস, ই-মেইল। বৈশাখের লোগো, মোটিফ, ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলে কোনো বিশেষ ছবি, ভিডিও বা জিফ। আর বাকি পরিশোধে ব্যাংকের মানিট্র্যান্সফার কিংবা বিকাশ, নগদ, রকেটেই আছে বাংলাদেশ।