মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশোর ‘অকৃত্রিম বন্ধু’। এই দেশের সহায়তাতেই সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে একটি করে ভারত-বাংলাদেশ এড্যু-এন্টারট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এখানে শিক্ষা-প্রশিক্ষণ ও সুষ্ঠু বিনোদনের প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হবে। পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের একত্রিত করে পাকিস্তানের দালাল তথা নতুন প্রজন্মের দেশদ্রোহীদের সাইবার যুদ্ধে পরাজিত করে বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে রবিবার ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্র ভারতের অসামান্য অবদান’ শীর্ষক সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
এসময় সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের ‘মুক্তিযোদ্ধা’দের হাতে ২৫টি ল্যাপটপ তুলে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ প্রকাশ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিগত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে যে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে সে ক্ষেত্রে ভারতের অবদান এবং সহযোগিত আমরা স্বীকার করতে চাই। আমাদের ১২টি হাইটেক পার্ক, ৬টি ডিজিটাল ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার তৈরিতেও ভারত আমাদের অনুদান দিয়েছে।
ভারত নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীলরা গুজব ছড়ায় উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ টানা ১৩ বছর ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশ কি ভারত হয়ে গেছে? মসজিদে কি আজানের ধ্বনী বন্ধ হয়েছে? কারো কি মাথার টুপি খুলতে হয়েছে? দাঁড়ি কাটতে হয়েছে? তাহলে কেন এই অপপ্রচার? নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গুজব ছড়িয়ে তারা আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে চায়। ধর্মী উস্কানি দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায়। তাই আজই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এই প্রস্তুতির পেছনে তিনটি বাধা উল্লেখ করেন পলক। বাধাগুলো হলো- জঙ্গীবাদ,দুর্নীতি ও মাদক। তাই এই তিন থেকে তরুণদের বেঁচে থাকতে উপস্থিত তরুণদের শপথ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দোরাই কুমার স্বামী, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।