ফেসবুক-ইউটিউবে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই এ ধরনের গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
তিনি বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার উপর আঘাত করা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উপর আঘাত করা।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের কথা শুনলে মানুষের অন্তর নরম হয়ে যায়। ওয়াজ মাহফিলে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো দলের পক্ষে প্রচারণা কিংবা হিংসাত্মক বক্তব্য রাখা যাবে না। এরূপ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডা ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নৈতিকতা তথা অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা, মানবিকতা ও সহনশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাদান করা হচ্ছে।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আয়োজনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল-শাহীন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের খুলনা বিভাগীয় কর্মকর্তকর্তা ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনদ কুমার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিত সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীলসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা।
সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইমাম পরিষদের নেতা, আলেম ওলামারা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাসহ সব থানার পুলিশের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশ নেন।