জাতিসংঘ ভুক্ত উন্নয়নশীল ৩৯টি দেশের সরকারি কর্মচারী, নীতি নির্ধারক, বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তা, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের ডিজিটাল সংযুক্তির প্লাটফর্ম সাউথ সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন (এসএসএনফোরপিএসআই)।
জনসেবার ডিজিটাল উদ্ভাবন জ্ঞান ও সেবা বিনিময়ের ৬টি খাতে কাজ করে এই বৈশ্বিক প্লাটফর্ম। ২০১৯-২০ সালে এই প্লাটফর্মে সম্পাদিত হয়েছে ২৪৪টি ম্যাচ মেকিং।
বুধবার ওয়েবিনারে প্রকাশ করা হয়েছে এই ম্যাচ মেকিংয়ের সেরা উদ্ভাবন গুলো। এক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার উন্ননশীল দেশগুলোর ডিজিটাল উদ্ভাবন সহযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ থেকে ন্যাশনাল পোর্টাল, সার্ভিস প্রোসেস সিপ্লিফিকেশন, ও ডিজিটাল সেন্টার ধারণা নিয়েছে ফিলিপিন।
ন্যাশনাল ইন্টিলিজেন্স ফর স্কিলস, এড্যুকেশন অ্যান্ড এন্টরপ্রেনিউরশিপ ধারণা নিয়েছে জর্ডান ও নাইজেরিয়া। এসডিজি ট্র্যাকার নিয়েছে পেরু। একশপ ই-কমার্স প্লাটফর্ম নিয়েছে তুরস্ক ও কলম্বিয়া।
বিপরীতে সিঙ্গাপুর থেকে ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের পাঠ নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত থেকে শিশু শিক্ষার ডিজিটাল সেবা রঙ্গিত নিয়েছে নেপাল। আর সিঙ্গাপুর থেকে টিচিং ফ্যাক্টরি ধারণা নিয়েছে উগান্ডা।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী।
অনুষ্ঠানে এসএসএনফোরপিএসআই এবং ত্রিমাত্রিক সহযোগিতার বিষয়টি উপস্থাপন করেন ইউএন সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের পরিচালক আদেল আবদেল।
দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচমেকিং নিয়ে আলোচনা করেন এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি স্পেশালিস্ট আসাদুজ্জামান এবং ইউএন সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ডেনিস নাকালা।
অনুষ্ঠানে তৃতীয় পর্ব সঞ্চালনা করেন এটুআই পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী। এসময় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,ফিলিপিনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রী নাগিব জি সিনারিম্বো, ইউএনডিপি নিউইয়র্কের চিফ ডিজিটাল অফিসার রবার্ট অপ,ওইসিডি’র হেড অব ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন টিম বেঞ্জামিন কাফ এবং কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ড. নাবিল গহির।
এছাড়াও আইসিটি সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এটুআই প্রকল্প পরিচালক মো: আব্দুল মান্নানও অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।