দেশের ১৬ কোটি মোবাইল গ্রাহক তথ্য নিরপত্তার হুমকিতে রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। সাম্প্রতিক সময়ে মাত্র ২০০০ টাকার বিনিময়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি মোবাইল অপারেটর থেকে গ্রাহকদের তথ্য বিক্রি হওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক তথ্য সুরক্ষা দিবসে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় পুলিশ বাদি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি তুলে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রত্যেক গ্রাহক ও নাগরিকের তার ডাটা সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা অধিকার একটি সাংবিধানিক ও আইনগত অধিকার। প্রযুক্তির উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের সাথে সাথে নাগরিকদের ডাটা সংরক্ষণ অনেকটাই হুমকিতে পড়ছে। সাইবার শিকারীরা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি তৎপর। আমাদের দেশে আমরা প্রায়ই একটা জিনিস দেখি তা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা টেলিভিশনে গ্রাহকের নাগরিকের মধ্যে ফোন আলাপ প্রকাশিত হয়। যা রীতিমতো দেশব্যাপী ভাইরাল এ পরিণত হয়। কিন্তু ওই অপরাধী ব্যক্তির ডেটা সংরক্ষণের আইনগত সাংবিধানিক অধিকার ছিল, কিন্তু তার অধিকার কতটুকু রক্ষা করা গিয়েছে তা অবশ্যই প্রশ্ন বৃদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৩(খ) নম্বর অনুচ্ছেদে প্রাইভেসি রাইটস বা ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর ২৬ ধারায় অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ কে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা অনুযায়ী (অন:১২) নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সনদ (অন:১৭) জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী মাইগ্রেশন ওয়াকার্স (অন,:১৪) এবং বিশ্ব অধিকার সনদ (অন:১৬) এ প্রাইভেসিকে অধিকার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে আলাদাভাবে এখনো কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এর খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে, দিতে হচ্ছে গ্রাহককে।