অনলাইনে অবমুক্ত করা হয়েছে “Peace, Love & Liberty” বইয়ের বাংলা সংস্করণ। বইটি প্রকাশ করেছে প্রেনিউর ল্যাব ইয়ুথ এন্ড ইনোভেশন ট্রাস্ট বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেনিউর ল্যাব ট্রাস্টের ট্রাস্টি আরিফ নিজামী, বইটির সম্পাদক ও অ্যাটলাস নেটওয়ার্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম ড. টম জি. পামার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন এবং আরও অনেকে।
এছাড়াও এই বইটির বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি একটি “পাবলিক স্পিকিং চ্যালেঞ্জ” এর আয়োজন করা হয়েছিল যেখানে দেশের সেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিল। ৫টি চ্যালেঞ্জের বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
বইটি অনলাইনে ইয়ুথ একাডেমীর ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যাবে। এছাড়াও বইটির হার্ডকপি বিনামূল্যে সংগ্রহ করার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করে ফর্মটি পূরণ করতে হবে।
হার্ডকপি সংগ্রহের লিঙ্কঃ http://xho.to/getbook
প্রেনিউর ল্যাব বিশ্বাস করে যে, প্রযুক্তিকে সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে সমগ্র পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই ধারণাকে কেন্দ্র করে “ Tech for Peace” স্লোগান নিয়ে আমরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর “ Peace Summit” এর আয়োজন করে থাকে যা শান্তি নিয়ে এদেশে করা সবচেয়ে বড় একটি আয়োজন। এ পর্যন্ত মোট ৫ টি Peace Summit আয়োজন করা হয়েছে যেখানে দেশি-বিদেশি বক্তারা অংশগ্রহণ করেছে। Peace Summit গুলোতে শান্তি এবং সুরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতা থেকেই এই বইটি বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে যার নাম “Peace, Love & Liberty”।
এই বইটিতে মূলত মানব সভ্যতায়, বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও শান্তি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি নিয়েও বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এই বইটি অনুবাদ করার উদ্দেশ্য হল তরুণদের যুদ্ধ এবং যুদ্ধের ভয়াবহ দিক সম্পর্কে অবহিত করা এবং কিভাবে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব সেই বিষয়ে ধারণা দেওয়া। বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে লেখা। এখানে যুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি, বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যার মাধ্যমে আমাদের তরুন প্রজন্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবে। শান্তিতে আদর্শ হিসেবে কীভাবে বাস্তবে অর্জন করা এবং বজায় রাখা সে বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই বইটিতে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয়বস্তু নিয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে যার মাধ্যমে তরুণরা বিশ্ব সম্প্রীতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারবে এবং নিজস্ব মতামতও গঠন করতে পারবে। এই বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করেই বইটির বঙ্গানুবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রেনিউর ল্যাব বিশ্বাস করে, বইটি পড়ে তরুণরা শান্তি, সৌহার্দ্য এবং সম্প্রীতি সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পারবে।