বর্তমানে নারীর নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যাও কম নয়। তথ্য প্রযুক্তির যুগে পুরুষরাও প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষ সাইবার বুলিং ও সাইবার হামলার শিকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ব পুরুষ দিবসে ঢাকা রিপোর্টারর্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে “এইড ফর মেনস ফাউন্ডেশন” আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমন তথ্য দিয়েছেন মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, পুরুষ দিবসের অর্থ নারী বিদ্বেষী বা নারী অধিকারের প্রতিদন্দ্বী নয়। বর্তমানে নারীর নির্যাতনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যাও অধিক। তথ্য প্রযুক্তির যুগে পুরুষরাও প্রায় ৪০ শতাংশ পুরুষ সাইবার বুলিং ও সাইবার হামলার শিকার।
নির্যাতনের হার কিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চাইলে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাইবার হামলার শিকার নারী নির্যাতনের হিসাব দেখলে দেখবেন ৬০ শতাংশ নারী সাইবার হামলার শিকার। আর শিশুরা নারীদের ২৫ শতাংশ। এ থেকে সহজেই প্রতীয়মান হয় বাকি ৪০ শতাংশ পুরুষ সাইবার সন্ত্রাসের শিকার।
তাই বিষয়টি সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বিরোধী যে আইন তৈরি হয়েছে তা যাতে কোন ভাবে নিরপরাধ ও নিরীহ কোন পুরুষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা না হয় তা নিশ্চয়তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনবোধে পুরুষ অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি করা যেতে পারে।
খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের আইনজীবি ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন, কাউসার হোসাইন ও ইশরাত হাসান।
অনুষ্ঠানে বহুবিবাহ প্রতারণারোধে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাল করাসহ ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম।
প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পুরুষ দিবস পালন করে রেড আর্মি এন্ড নেভি ডে হিসেবে। পুরুষদের আত্ম-মর্যাদা, ত্যাগ ও আত্ম দানের প্রতি সম্মান রেখে দিবসটি পালন করা হয়। পরবর্তীতে টমাস আটার নামের এক ব্যক্তি ১৯৯২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পুরুষ দিবস পালন করে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৯ এর ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো তে এ বিশেষ দিন উদ্যাপন করা হয়। ২০০২ সালে এই দিবসটির নামকরণ করা হয় ডিফেডান্ডার অব দ্যা ফাদারল্যান্ড ডে হিসেবে। বর্তমানে সারাবিশ্বে ১৯ নভেম্বর বিশ্ব পুরুষ দিবস পালন করা হচ্ছে।