কোভিডে দেশে অনলাইন কনটেন্ট রচয়িতা ও গেম নির্মাতা, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল কমার্স, ক্লিনিং, ডেলিভারি ও প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপ নির্মাণ পেশা ও ব্যবসায় এবং রিমোর্ট সেবাদাতা পাশপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারকারী কৃষকরা বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। ডিজিটাল কোলাবেরেশন টুলস ব্যবহার করে চলছে পার্টির মতো উৎসবের আয়োজন।
এরই ধারাবাহিকতায় কোভিড যদি অল্পদিনের মধ্যে কমেও যায় তবুও ভীতি ও সতর্কতার কারণে অনলাইন ক্লাসরুম ও ই-লার্নিং, হেলথকেয়ার বা টেলিমেডিসিনের মতো টুলসের ব্যবসায়ের অপার সম্ভাবনা থেকেই যাবে। গিগ ইকোনোমিতে প্রবৃদ্ধি হবে। ফলে ডিজিটাল খ্যাপিস্টদের পসার। কোভিড চাপে ফুল টাইম কর্মীর জায়গায় খ্যাপিস্টদের নিয়োগ দিয়ে খরচ কমাবে। পূর্ণকালীন খরচ মেটাতে না পেরে এই খণ্ডকালী কর্মীদের ওপর সাওয়ার করবেন নিয়োগদাতারা। মূলত স্থায়ী খরচ বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। একইসঙ্গে অনলাইন কনসালটেশন ব্যবসায় বাড়বে।
বাংলাদেশ ইনোভেশন সামিট উপলক্ষে আয়োজিত আইটি ব্যবসায়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার ওপর সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
তিনি বলেন, দুর্যোগের পরেই থাকে সুযোগ। কালো মেঘের ওপারেই সূর্য হাসে। আপনারা জানেন এখন অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। তাই এখন স্বভাবতই হোম ওয়ার্ক জমা দেয়ার একটি টুল লাগবে। ক্লাস ওয়ার্কের জন্য টুল লাগবে। পর্যালোচনা ও মূল্যায়নের জন্য টুল লাগবে। তাই বাজার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সল্যুশন বা টুল তৈরি করলে দারুণ সুবিধা পাবেন। যে কাজে ফেস টু ফেস হতে হয় না সেই ব্যবসায় পসার হবে। হাইপার লোকাল ডেলিভারি, ভার্চুয়াল ইভেন ম্যানেজমেন্ট নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।