বছরে শেষ থেকে শুরু হয়ে দিন দিন বাড়ছে ডিজিটাল বোর্ডে হঠাৎ হঠাৎ আচমকা ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান। বাদ যাচ্ছে না কলেজ, মাদরাসা এমনকি মসজিদও। খুলনা রেলস্টেশনের মূল ফটকের ডিজিটাল বোর্ড, নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ডিজিটাল সাইনবোর্ড, রাজশাহী কলেজের ডিজিটাল বোর্ডে, লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ডিজিটাল বোর্ড, যশোর কেশবপুর উপজেলা মহিলা মাদ্রাসায়,ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের নামাজের সময়সূচির ডিজিটাল বিলবোর্ডে এবং সবশেষ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ইউরেকা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ডিজিটাল বোর্ডে ভেসে উঠেছে ‘জয় বাংলা’ লেখা স্লোগান।
একের পর এক এমন কাণ্ডকে ডিজিটাল শর্ষের ভূত বলে মন্তব্য করছেন নেটিজেনরা। বিষয়টিকে কেউ কৌতুক কেউবার দুরভসন্ধি বলে অভিহিত করছেন। আবার বলা হচ্ছে- ডিজিটাল ভূতও। তবে এমন ঘটনার পেছনে যারাই থাকুক তাদের চিহ্নিত করা উচিত বলে মনে করে নাগরিক সমাজ। এটা নাগরিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা বলে মন্তব্য তাদের।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলারোয়া উপজেলার শেখ আমানুল্লাহ কলেজ সংলগ্ন ইউরেকা ফুয়েল পাম্প কমপ্লেক্স জামে মসজিদের ডিজিটাল সাইন বোর্ডের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক তাফহীমুল ইসলামসহ কয়েকজন জানান, মাগরিবের নামাজের পর তারা চা খেতে মসজিদের সামনে যান। এ সময় হঠাৎ মসজিদের দ্বিতীয় তলার বাইরের দেয়ালে থাকা ডিজিটাল সাইন বোর্ডে ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বিডি ৭১ হ্যাকার’ লেখা দেখেন তারা।
এর এক-দুই মিনিট পরেই বিদ্যুৎ চলে যায়। বিষয়টি ভাল করে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তারা অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর বিদ্যুৎ এলে সেই ডিজিটাল সাইন বোর্ডে পুনরায় ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বিডি ৭১ হ্যাকার’ লেখা ভাসতে দেখা যায়। এ সময় মসজিদের ইমাম তরিকুল ইসলামকে ডেকে দৃশ্যটি দেখালে তিনি আশ্চর্য হয়ে যান এবং তাৎক্ষণিক ডিজিটাল সাইন বোর্ডের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
লেখায় ঘোষণা দেয়া বিডি ৭১ হ্যাকার দল সম্পর্কে অনুসন্ধানে জানাগেছে, এটি একটি ফেসবুক ভিত্তিক হ্যাকার গ্রুপ। তবে এরা নিজেদের ইথিক্যাল হ্যাকার বলে দাবি করেছে। এছাড়াও এ ধরণের কাজের দায় স্বীকার করেনি।