সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এ বিষয়ে সাংবাদিক ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, যেহেতু সাংবাদিকরা ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একটি নীতি ও জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন, আমি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দাবির সঙ্গে একমত এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা করে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।
বিদ্যমান আইন উপেক্ষা করে সম্প্রচার বা ইন্টারনেট সেবা প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সময় বলেন, সাংবাদিকদের যোগ্যতা ও গুণগত মান নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আরেকটি প্রস্তাব সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছি।
তিনি বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, কর্মীদেরকে নোটিশ না দিয়ে কিংবা হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। একইভাবে গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রতিষ্ঠানকে সময় না দিয়ে, যে কোনো মুহূর্তে চাকরি ছেড়ে দিতে পারবেন না।’
এমন করলে মালিকপক্ষ এবং কর্মরত সাংবাদিক উভয়েই অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
খুব শিগগিরই এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (পেশাদার সাংবাদিক) গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনতে সাংবাদিকদের যোগ্যতা নির্ধারণে নীতিমালা চান। আমরা আপনাদের সঙ্গে কথা বলে তা প্রণয়ন করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রচার মাধ্যমের জন্য আলাদা কার্যকর আইন করা হবে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, কর্মরত সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইনটি যথাযথভাবে কাজে লাগানো হবে। ক্লিনফিড ছাড়া অনেকে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কেউ যেকোন কনটেন্ট বানাতে পারেন না। দেশের প্রচলিত আইন তা সমর্থন করে না।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেসি চেয়ারম্যান রেজোয়ানুল হক রাজা, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ মানস ঘোষ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।