আগামী ৯ ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ওই অনুষ্ঠানে এ বছর নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বকৃতি পাচ্ছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পাওয়া দ্বিতীয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম। নারী শিক্ষা বিভাগে ঢাকা জেলা থেকে মরণোত্তর এই পুরষ্কার পাচ্ছেন তিনি।
১৯৫০ সালের ৬ অগাস্ট ঢাকায় জন্ম নেওয়া খালেদা ইকরামের বাড়ি বগুড়ায়। তবে তার জন্ম ঢাকায়। ঢাকাতেই বড় হয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে পড়েছেন। ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বুয়েটের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ২০১৬ সালের ২৪ মে দূরারোগ্য নন হজকিনস লিমফোমাসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবার এই শিক্ষানুরাগীসহ নারী অধিকার, নারীর আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরাবোজ্জ্বল ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক জয়ী পাঁচজন বিশিষ্ট নারীর নাম ঘোষণা করেন।
সাবেক বুয়েট উপাচার্য ছাড়াও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা); নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা); নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষীপুর জেলা) এবং পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা) এই পুরস্কার পাচ্ছেন।
পদক প্রাপ্তদের আঠারো ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, প্রত্যেক চার লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়াসহ গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।