পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে শুরু হলো রিয়াল টাইম বায়ুমান ইন্ডেক্স কার্যক্রম সম্প্রচার। রবিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ২য় সভার শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো: মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ-সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দপ্তর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত সারা বাংলাদেশে ১৬টি CAMS-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত বায়ুমান মনিটরিং উপাত্ত সমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরাসরি অনলাইনে বিশ্লেষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং AQI হিসাবে ক্যালকুলেশন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এ অটোমেশন সিস্টেমটি বাস্তবায়নের ফলে সকলে রিয়াল টাইম এয়ার কোয়ালিটি এর মাধ্যমে বায়ুদূষণ মাত্রার স্বাস্থ্যগত প্রভাব তাৎক্ষণিক জানতে পারবে এবং বায়ুমানের অবস্থা খারাপ হলে যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণসহ সময়মত বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে।
এ সকল ক্যামস সমূহ সার্বক্ষণিকভাবে বায়ুতে বিদ্যমান পিএম ১০, পি.এম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইডস ও কার্বন মনোঅক্সাইড= ৬ (ছয়)টি বায়ুদূষক সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণ করে ডাটাসমূহ এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স হিসাবে ক্যালকুলেশন করে প্রকাশ করা হবে। মানুষের ওপর বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিবেচনায় AQI-এর মান নিম্নরূপ ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হয়। AQI-এর মান ০-৫০ হলে বায়ুমানের অবস্থা ভালো, ৫১- ১০০ হলে মোটামুটি, ১০১-১৫০ হলে সংবেদনশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর, ১৫১-২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০ এর উপরে হলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা, আগারগাঁও, ফার্মগেটের বার্ক, দারুসসালাম; সাভার, গাজীপুর; নারায়ণগঞ্জ; ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, সিলেট; কুমিল্লা, রংপুর, টেলিভিশন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম; রাজশাহী,বরিশাল; খুলনা ও নরসিংদীতে স্থাপিত মোট ১৬টি CAMS-এর সংগৃহীত বায়ুমান মনিটরিং উপাত্ত- সমূহকে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স- AQI হিসেবে রিয়াল টাইম অটোমেশন করা হয়েছে।
সভায় রিয়াল টাইম বায়ুমান ইন্ডেক্সের উদ্বোধন ছাড়াও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-সহ উন্নয়ন কাজের সাথে জড়িত সরকারের দপ্তরগুলোকে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রেও যাতে বায়ুদূষণ না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।