সামরিক যাদুঘরে ত্রি-মাত্রিক চলচ্চিত্র ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’র প্রদর্শনী
দেশ ও বিশ্বের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে শিশু শেখ রাসেলকে তুলে ধরতে বুধবার শেখ রাসেল দিবসে থ্রিডি অ্যানিমেটেড স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ উপেভোগ করলো শতাধিক পথ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে দুপুর তিনটায় বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি দেখে অনেক শিশুই ছিল হতবিহ্বল, ব্যথিত ও শোকাতুর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি বিষয়ে প্রথম প্রদর্শনী শেষে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব যেন শিশুদের জন্য নিরাপদ হয়। আর কাউকে কোনদিন যেনো শিশু রাসেলের মতো এমন নির্মম হত্যার শিকার হতে না হয়। পাশাপাশি যারা শিশু হত্যাকারি তাদের মধ্যে যারা আমেরিকা ও কানাডায় পলাতক অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে যেনো ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা যায় সেই সকল দেশ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাই।
আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, এটি একটি ‘ঐতিহাসিক’ কাজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বই ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ থেকে ধারণা নিয়ে তারা চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতিকথা থেকে নিয়ে নিপুণভাবে সাজানো। শিশু-কিশোরসহ যেকোনো বয়সের দর্শককে মুগ্ধ করবে এই চলচ্চিত্র। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব।
তারা আরো জানান, একটি বিশেষ শিশুর চোখ থেকে দেখা একটি পিরিয়ড ড্রামা, যা এই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিবারের একটি মর্মান্তিক ইতিহাস থেকে নেওয়া। আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত গল্প বলার কৌশল এবং স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করা হয়েছে ।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. মোস্তফা কামাল, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা, উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, উপদেষ্টা তরফদার মো. রুহুল আমিন, উপদেষ্টা ব্যরিস্টার মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।