ডিজিটাল রিটেইল বিসজনেসে প্রযুক্তিক্ষেত্রের নেক্সট ভেঞ্চার সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ, একাডেমিক নেতৃত্বে রকমারি ডটকম প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান সোহাগ, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা চিকিৎসায় ডাঃ সায়েদুল আশরাফ কুশল, উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে অর্জনে ফারনাজ আলম, খেলাধূলায় তীরন্দাজ মোঃ রোমান সানা, সাংস্কৃতিতে অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী, উদ্যোক্তা ক্ষেত্রে মীর শাহরুখ ইসলাম, অর্থনীতিতে সায়মা ইসলাম ও ব্যক্তিগত অর্জনে ডিজিটাল ফরেনসিকে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় এডিসি ইশতিয়াক আহমেদ ও ইংলিশ থেরাপির কর্ণধার সাইফুল ইসলাম জেসিআই বাংলাদেশ টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ং পার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।
পুরস্কার প্রাপ্তদে মধ্যে ৭০ শতাংশই প্রযুক্তির শক্তিকে ব্যবহার করে সমাজে অবদান রাখায় এই স্বীকৃতি পেলেন। অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে জেসিআই-ইবিএল কাস্টমাইজড কার্ড উন্মোচন করা হয়।
শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখায় টয়য়োপ ২০২৩ বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তরুণ পেশাজীবীদের নেতৃত্বের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ যে বাংলাদেশের পথনকশা তৈরি করেছেন আজকের তরুণদেরই সেই লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব দিতে হবে। অতীতে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন তরুণদের প্রশংসনীয় অংশগ্রহণের ফলেই সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তরুণরা মেধাবী হলে সে জাতি কখনো পথ হারায় না।
তিনি আরো বলেন, গর্বিত জাতি হিসেবে আমাদের স্বপ্ন ও লক্ষ্য রয়েছে। তা পূরণে তারুণ্য আমাদের শক্তি, সম্পদ। আমি জানি আপনারা বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব বিষয়ে সচেতন। সরকার সুযোগ তৈরি করেছি। এখন আপনাদের অবদান রাখার সময়।
সরকারের বিদ্যুৎ, খাদ্য, যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সরকারের নানা সফলতার সূচক তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের স্বপ্ন দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করা। এজন্য আমরা পথনকশাও করেছি। এ কারণেই আমরা উন্নত দেশ হিসেবে গ্রাজ্যুয়েশন করেছি। আমাদের এখন কয়েকটি সাবমেরিন ও স্যাটেলাইট রয়েছে। এর সুবাদেই এখন আপনাদের সবার পকেটেই রয়েছে একটি করে লাইব্রেরি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলাস, ব্রুনাই দারুস সালাম’র রাষ্ট্রদূত হাজী হ্যারিস বিন ওথমান।
লিলি নিকোলাস বলেন, একসময় বাংলাদেশকে তলাহীন ঝুড়ি বলা হতো। তবে বিশ্বের এই দৃষ্টিভঙ্গী ভুল প্রামাণিত হয়েছে। এদেশের স্বর্ণালী তারুণ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে পরিপুষ্ট হয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাবে।
হাজী হ্যারিস বিন ওথমান বলেন, ডিজিটাল বিশ্বের কোনো সীমনা নেই। তাই জ্ঞানের সম্মিলনের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক ভ্যালুজের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বাংলাদেশ। তারুণ্যের শক্তিতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সমৃদ্ধির, অনুসরণীয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, টয়োপ ২০২৩ এর পরিচালক এবং জেসিআই বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ ইরফান হক, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ শাখাওয়াত হোসেন মামুন, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ইমরান কাদির, টয়োপ ২০২৩ এর আহ্বায়ক এবং জেসিআই বাংলাদেশ সভাপতির নির্বাহী সহকারী আব্দুল্লাহ সাফি, টয়োপ ২০২৩ এর সহ-আহ্বায়ক এবং জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আরেফিন রাফি আহমেদ, আরিজ আফসার খান এবং মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল।