বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ২০২৩’। তবে অনিবার্য কারণে ৩ অক্টোবর তা স্থগিত হয়েছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ স্থগিত করলেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে আগামী আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা’র প্রস্তুতি থেমে নেই। আগামী সপ্তাহেই ইওই আই দরপত্র দেয়ার কাজ চলছে।
এদিকে স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ২০২৩ আয়োজন সফল করতে গত ১০ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআিইসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ভিত্তিক বাণিজ্যিক সংগঠন বিসিএস, বেসিস, বাক্কো ও ই-ক্যাব এর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তিও করেছিলো সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় স্মার্ট বাংলাদেশ সামিটের স্পন্সর নাইট। কথা ছিলো স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট ২০২৩ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং সমাপনীতে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সর্বশেষ গতকাল বুধবার (৪ অক্টোবর) পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় আগামী ৫ থেকে ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ সামিট’ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন।
অবশ্য সামিট অনুষ্ঠানের দুই দিন আগেই ডিজিটাল থেকে স্মার্ট রূপান্তরের এই প্রদর্শনী স্থগিতের চিঠি দেয়া হয়।আইসিটি বিভাগের আইসিটি প্রমোশন ও ব্র্যান্ডিং শাখার উপসচিব তওহীদ আহমেদ সজল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে প্রদর্শনী স্থগিতের কথা বলা হলেও কেন স্থগিত হলো তা উল্লেখ করা হয়নি। একই ভাবে নতুন তারিখ বিষয়েও অবহিত হওয়া যায়নি।
এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ঘোষিত সময়েই ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা’ আয়োজনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ইদাদুল হক। তিনি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই ইওআই দেয়া হবে। স্থগিত করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেই।
আইএসপিএবি’র প্রচারণা অনুযায়ী, এমটব, ওয়ালটন, হুয়াওয়ে ও জেডটিইসহ আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতায় মেলা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে ১০টি উপকমিটি। স্মার্ট বাংলাদেশের সচিবালয় খোলা হচ্ছে বিটিআরসিতে। সূত্রমতে, পুরো দেশকেই একটি পাবলিক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করার স্মার্ট অবকাঠামো ও সেবার পসরা তুলে ধরার পাশাপাশি মেলা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন সভা সেমিনার।