প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি আর পুঁজি সহায়তায় স্মার্ট বাংলাদেশের ৬ কোটি পরিবারের ৪০ শতাংশ পরিবারের কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে ‘স্মার্ট সেলফ ইমপ্লয়মেন্ট’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। বহুপক্ষীয় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এই উদ্যোগে রয়েছে তিন ধাপের পিরামিড অবকাঠামো; যেখানে গুরুত্ব পাচ্ছে বস্তি, কারাগার/কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রের ৬০-৭০ লাখ জনগোষ্ঠীও। এ প্রকল্পে ২০-২৫ লাখ স্নাতক সহ থাকছে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরাও। বাদ থাকছে না গ্রামে বসবাসকারী ৮০-৯০ লাখ প্রান্তিক মানুষও। সব মিলিয়ে ২০৪১ সালে এই প্রকল্পের অধীনে অন্তত এক কোটি মানুষের আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেছেন, অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বাংলাদেশ, এবার সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশের প্রতিটি পরিবারে অন্তত একটি স্মার্ট কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায় সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেনকে অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনায় নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেজন্য আমরা এমন একটি পিরামিড গড়ে তুলতে চাই যেখানে শীর্ষে থাকবে স্বল্প সংখ্যক হলেও সমাজে যাদের ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি।
কীভাবে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে তারও বিস্তারিত পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন তিনি।
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কেন্দ্রে ইউএনডিপি এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেনে ইউনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফিন লিলার এই হাইটেক পার্ক কতৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফর উল্লাহ। একই সময়ে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আরো একটি চুক্তিতে সই করেন ইডিসি প্রকল্প পরিচালক প্রণব কুমার সাহা এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ব্যারিস্টার মোহাম্মাদ গোলাম সারোয়ার ভূঁইয়া।
চুক্তির আগে দেয়া বক্তেব্যে স্টেফিন লিলার বলেন, এই প্রকল্পের অধীনে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগরি এই যুগে চ্যালেঞ্জ থাকলেও আর্থসামাজিক উন্নয়নে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এজন্য ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় অর্থনৈতিক রূপান্তরের মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভূক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য আমরা বাংলাদেশের তরুণদের পেছনে বিনিয়োগ করছি। চাকরি না খুঁজে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে স্টার্টআপ সংস্কৃতির উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন বলেন,
‘ওয়ান ফ্যামিলি ওয়ান সিড’ কেবল একটি উদ্যোগই নয়, এটা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে। এই উদ্যোগের ফল পৌঁছে যাবে প্রান্তিক পর্যায়েও। মুক্ত পেশাজীবি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, নবীন উদ্যোক্তা এবং পিছিয়ে পড়া ও সংখ্যালঘিষ্ট জনগোষ্ঠিও সুবিধাভোগী হবে।