এ্যড-টেকে পিপিপি ইকো-সিস্টেম দাবি
বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, অভাবক শ্রোতা-দর্শকের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বক্তারা। শিক্ষাবিদ, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি ইকো সিস্টেম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে ডিজিটাল-ফিজিক্যাল মিলিয়ে ব্লেন্ডেড লার্নিং পদ্ধতিকে হিউমানাইজিং টেকের প্রতি জোর দিয়েছেন শিক্ষা-প্রযুক্তিবিদেরা।
রবিবার (৩০ জুলাই) ইন্টার কন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে বিষয় সাদৃশ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ্যডটেক নিয়ে অনুষ্ঠিত ডায়ালগ সেশনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
জীবনকে এক দিস্তা কাগজের সঙ্গে তুলনা করে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর উপচার্য রুবানা হক বলেন, চ্যাটজিপিটি’র চেয়ে এগিয়ে মানুষ। গেমিং থেকেও এখন অনেকে শিখছে। কিন্তু টেন মিনিট কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মতো করে কাজ করছে। কিন্তু সবার মধ্যেই সমন্বয় দরকার।
স্ক্রিন ও প্রযুক্তির বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, চ্যাটজিপিটি যেনো আমাদের গিলে ফেলছে। তাই আমাদের শর্টকাট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা ফুল ফোটাবো না বাগান তৈরি করবো। শিশুদের প্রকৃতির সংস্পর্ষে এনে মানবিক করতে হবে। এজন্য দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি পড়া চালিয়ে যেতে হবে। পড়ার কোনো বিকল্প নেই।
প্যানেল আলোচনায় অন্যরকম গ্রুপের চেয়্যারম্যান মাহমুদুল হাসান সোহাগ বলেন, মানুষরিলস এর মতো শ্যালো ও ক্যানাল হয়ে যাচ্ছে। তাদের চিন্তার গভীরতা কমছে। মনোযোগ হারাচ্ছে। তারা জিপিএ’র পেছনে ছুটছে। এরফলাফলমুখীতা ভালো। কিন্তু মুখস্থ করে নয়। তাদের চিন্তা করার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন আরো কঠোর হতে হবে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের সহযোগী পরিচালক তাসমিয়াহ রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্যে গ্রামীণফোন সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, শুনে-দেখে এখন চিন্তা করে শিখি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমাদের চিন্তার সুযোগটা আসবে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য কেবল কনন্টেন্ট তৈরি করলেই হবে না উদ্ভাবনী সল্যুশন লাগবে। অটোমেশনের কারণে জব হারালেও নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই তাদের বুঝতে হবে নতুন স্কিলসেট শিখতে হবে। কিন্তু এড্যুটেইনমেন্টে আমরা পিছিয়ে। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন সবচেয়ে কম খরচে একটি প্যাক চালুর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।