আগামী ২৫ জুলাই ঘোষণা করা হবে ৪র্থ ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড এর ফলাফল। শিক্ষার্থী ও পেশাদার ক্যাটাগরিতে ৪টি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হলেও হাইব্রিড মডেলেও হবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। পুরস্কার বিতরণী উপলক্ষে ২৩- ২৪ জুলাই অনলাইনে হবে ৪টি সেমিনার।
সোমবার আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি সম্মেলন মিলনায়তনে এ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও টেকনো হ্যাভেন কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতা হাবিবুল্লাহ এন করিম।
তিনি জানান, ১০ দিন আগেই শুরু হয় প্রতিযোগিতার নিবন্ধন প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে গত বছরের চেয়েও বেশি ১২০টি আবেদন থেকে প্যানেল রাউন্ডে ৪০টি নির্বাচিত হয়েছে। গত ৪ বছরে এই খাতে জনশক্তি শতগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বছরেই বাংলাদেশের টাকায় নিজস্ব একটি ব্লকচেইন কারেন্সি চালু হবে এবং তথ্যচুরি ঠেকাতে ব্লকচেই ব্যবহারের ওপর মত দেন হাবিবুল্লাহ এন করিম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বিজ্ঞপ্তিতে আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন বলেন, ব্লকচেইন বিষয়ে আমরা অপরিচিত। তাই এই বিষয়ে জানাতে এই অলিম্পিয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দারপ্রান্তে। এই সময়ে ডাটা ম্যানুপুলেট ও প্রতারণা ঠেকাতে এই প্রযুক্তি কাজে লাগবে। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।
অধ্যাপক মোহাম্মাদ কায়কোবাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার সবাইকে ‘তথ্য যেখানে সেখানে না রাখার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান’।
নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ব্লকচেইন নিয়ে গবেষণা ও চ্যালেঞ্জের বিষয়ে আলোকপাত করেন সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি। তিনি বলেন, আমাদের ইতিবাচক সংস্কৃতি লালন করতে হবে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।