আয়োজক ও প্রার্থী উভয়ের আবেদনই খারিজ করে সুইস দূতাবাস। তাই “ফর্মুলা স্টুডেন্ট” এর অনলাইন সাইট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অষ্টম অবস্থান নিয়ে তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের একমাত্র এফ ওয়ান (F1) রেসিং কার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এর ক্লাব ক্র্যাক প্লাটুন-কে।
অনসাইট-এ না পারলেও অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনটি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে প্রতিযোগিতায়। ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত দুই দিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ক্র্যাক প্লাটুনের ১৪ সদস্য। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কস্ট অ্যান্ড মেনুফেক্চারিং পরীক্ষায় ১০ম এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপনা’ বিভাগে ৪র্থ স্থান অর্জন করে তারা। সব মিলিয়ে স্মার্ট ভিহেইকেল সিস্টেম প্রতিযোগিতায় তাদের ইভি (Electric Vhecile) ‘সিপি ই ২৩’ হয়েছে অষ্টম।
পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এশিয়ার মধ্যে একমাত্র দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচিত ক্র্যাক প্লাটুনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ১২টি দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ২২টি দল।
প্রতিযোগিতার জন্য স্থানীয় এবং পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ব্যবহার করে ক্র্যাক প্লাটুন এর ৫৮ সদস্যের মধ্যে ২৩ জন মিলে তৈরি করে ‘সিপি ই ২৩’ মডেলের বৈদ্যুতিক যান। গাড়িটি ফর্মুলা স্টুডেন্ট রুলবুক মেনে চলে বলে জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক শেখ ত্বকী তাহমিদ। জানিয়েছেন, গাড়িটিতে একটি ৭২-ভোল্ট লিথিয়াম ফেরো ফসফেট ব্যাটারির জ্বালানীশক্তিতে ৫ কিলোওয়াট মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার চলতে সক্ষম হয়েছেন। এখন লক্ষ্য সশরীরের আগামী ২৭-৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য পোল্যান্ড প্রতিযোগিতায় লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোর। তবে এখনো যাগাড় হয়নি গাড়িটি পোল্যান্ডে পাঠানোর অর্থ। নিজেদের যাতায়াতের অর্থ যোগাতে খুঁজছেন স্পন্সর।
তাদের লক্ষ্য এখন বাণিজ্যিক ইভি তৈরি করে বিশ্বে অটোমোবাইল খাতেও বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ক্র্যাক প্লাটুনের অমিত শক্তি নিয়ে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশেও নতুন বিজয় ছিনিয়ে আনতে চান দলের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, বিকল্প শক্তির উৎস থেকে স্মার্ট ভিহাইকল সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের ফর্মুলা ওয়ান স্টুডেন্ট প্রতিযোগিতাটি হয়ে আসছে ১৯৭৯ সাল থেবে। প্রথম প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিলো সোসাইটি অফ অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ার্স।