বাংলাদেশে ব্যবসার বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তরে কাজ করতে আগ্রহী ভারত ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা। বিশেষ করে ব্যাংকিং, পরিবহণ ও বন্দর এবং নাগরিক পরিষেবা খাতে ডিজিটাল কার্যক্রম গ্রহণে জোর দিতে চায় টেক মাহিন্দ্রা।
সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে “ব্যাংকিং পরবর্তী ডিজিটাল নেতৃত্ব সম্মেলন” শীর্ষক এক আয়োজনে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটি। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আরও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে। আর টেক মাহিন্দ্রার বিভিন্ন কার্যক্রম এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন টেক মাহিন্দ্রার গ্লোবাল কর্পোরেট এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট ও বিজনেস হেড সুজিত বক্সী ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা আগে শ্রম ভিত্তিক অর্থনীতির ওপর নির্ভর করতাম। এখন আমরা প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির জাতিতে নিজেদেরকে রূপান্তর করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং তার সুযোগ্য উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশে আইসিটি ইকো সিস্টেম গড়ে তুলছি আমরা। প্রধানমন্ত্রী তিনটি পরিকল্পনাকে “বাতিঘর” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এগুলো হল – আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের সব সুবিধা গ্রামে নিয়ে যাওয়া, তারুণ্যের শক্তি এবং সুশাসন। আর ডিজিটাল বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ – মানব সম্পদ উন্নয়ন, নাগরিকদের সম্পৃক্ত করা, ডিজিটাল সরকার এবং আইটি বা আইটি ইএস ইন্ডাস্ট্রির সম্প্রসারণ। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ সেবা আমরা জনগনদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে দিচ্ছি। আইটি পণ্য বা সেবা রপ্তানির পরিমাণ এখন ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা আগামী চার বছরের মধ্যে আমরা পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চাই। এই খাতে প্রায় ১০ লক্ষ তরুণ কাজ করছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা আছে আমাদের।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেক মাহিন্দ্রা কে “সত্যিকারের বন্ধু” উল্লেখ করে পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে টেক মাহিন্দ্রা আমাদের সত্যিকার বন্ধু। এধরনের বিনিয়োগকারী বন্ধুদের আমরা সবসময়ই স্বাগত জানাই। তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে যেমন – ২০২৪ সাল পর্যন্ত মুনাফার ওপর কর মওকুফ, ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কর রেয়াত, ১০ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানিতে ক্যাশ বোনাস ইত্যাদি। বাংলাদেশ বিনিয়োগের একটি আদর্শ স্থান।
নিজেদের পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে টেক মাহিন্দ্রার গ্লোবাল কর্পোরেট এফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট ও বিজনেস হেড সুজিত বক্সী বলেন, বাংলাদেশ এশিয়া অঞ্চলের সবচেয়ে উদীয়মান বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির দেখেছি। এখানকার লিডিং এন্টারপ্রাইজ এবং ডিজিটাল টেকনোলজি প্রকৃতি আমাদের আকর্ষণ করেছে। টেক মাহিন্দ্রা ডিজিটাল রূপান্তর এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দক্ষতার পরিচয় ইতিমধ্যে দিয়েছে। স্থানীয় প্রতিভা কে কাজে লাগিয়ে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন কে বাস্তব করতে চাই।
সম্মেলনে টেক মাহিন্দ্রার বিভিন্ন ব্যবসায়িক মডিউল তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির উর্ধতন কর্মকর্তারা।