২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় বিমান তৈরির চেষ্ঠা চালিয়ে আসছে। তাই অংশ হিসেবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক যুদ্ধবিমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত হয়েছে কৃত্রিম যুদ্ধও।
সম্প্রতি এই পরীক্ষামূলক যুদ্ধের কথা জানিয়েছে দেশটির বিমানবাহিনী। ইউ-২ ড্রাগন লেডি নামের একটি গোয়েন্দা বিমানে পাইলটের পাশাপাশি ARTUµ অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়। পাইলট বিমান চালালেও অ্যালগরিদমটি বিমানের সেন্সর নিয়ন্ত্রণ ও জটিল নেভিগেশনগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
এআই প্রযুক্তি ও পাইলট মিলে একটি কৃত্রিম মিসাইল যুদ্ধে অংশ নেন। প্রযুক্তির প্রধান দায়িত্ব হলো শত্রুর মিসাইল উৎক্ষেপক খুঁজে বের করা এবং পাইলটের দায়িত্ব হলো শন্ত্রুর হাত থেকে বিমানটিকে রক্ষা করা। উভয়েই ইউ-২ এর রাডার ব্যবহার করেছেন।
বিভিন্ন ধরণের গেমে ব্যবহৃত ওপেন সোর্স অ্যালগরিদম µZero এর সংশোধিত সংস্করণ হলো ARTUµ । যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী প্লেনের সেন্সর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অ্যালগরিদমটি ব্যবহার করতে প্রায় ৫ লাখ বার কৃত্রিম প্রশিক্ষণ চালিয়েছে। বিমান উড্ডয়নের পরেই এআইটি হয় মিসাইল খুঁজতে অথবা বিমানটিকে রক্ষা করতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। একজন পাইলট যে কাজটি করে থাকেন সেই প্রশিক্ষণ দেয় হয় নতুন প্রযুক্তিকেও।
ডিবিটেক/বিএমটি