করোনায় অনেক কিছুতেই আমরা পিছিয়ে গেছি, আবার অনেক কিছুইতে এগিয়ে গেছি। আজ থেকে ৫ বছর পর অনলাইন শিক্ষার কথা চিন্তা করা লাগতো, কিন্ত করোনায় আমরা আগে থেকেই তা চালু করেছি। শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটালাইজেশন ব্যাপক ভাবে কাজে লাগাতে চাই এমনটাই বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড গণমাধ্যমের আয়োজনে ‘আগামীর কর্মী, আগামীর দক্ষতা’ অনলাইন ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখন শুধু শিক্ষার্থীরা না শিক্ষক, অভিভাবক সবাই অনলাইন শিক্ষায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে। করোনা যখন থাকবে না, তখনো কিন্ত অনলাইন শিক্ষা বাতিল হয়ে যাবে না। ক্লাসরুম শিক্ষা যেমন থাকবে তেমনি অনলাইন শিক্ষাও থাকবে।
দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব শুধু সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে। কারণ দেশে সবচেয়ে বেশি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ওয়েবিনারে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বলেন, ২০৩০ সালে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময় ৮০ কোটি জব থাকবে না, যা এখন আছে। ২০৩০ সালে যে জব থাকবে সেগুলো এখনো তৈরিই হয়নি। এজন্য আমাদের ক্রিয়েটিভিটির উপর ফোকাস করতে হবে। কাজগুলো চলে যাবে এআই, রোবোট্রিক্স এর মত প্রযুক্তির হাতে।
ওয়েবিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্র্যাকের হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট তাসমিয়াহ তাবাস্সুম রহমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি রাজিব প্রসাদ সাহা এবং বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ।