১৬ বছর বয়সী ভারতীয় তরুণী প্রাঞ্জলি অবস্তি তাঁর এআই স্টার্টআপ- ডেলভ এআই এর মাধ্যমে প্রযুক্তি বিশ্বে আলোড়ন তুলেছেন। মিয়ামি টেক উইকের একটি ইভেন্টের সময়, প্রাঞ্জলি অবস্তি জানিয়েছেন যে তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তাঁর কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর সফলভাবে নিজের কোম্পানি চালিয়ে প্রায় ৩.৭ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছেন।
ডেলভ এআই এর লিংকডইন প্রোফাইল ইতিমধ্যে ১০ জন কর্মীকে নিযুক্তও করেছে। অনুষ্ঠানে নিজের কোম্পানির কথা বলতে গিয়ে প্রাঞ্জলি তাঁর বাবাকে নিজের রোল মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
স্কুলে কম্পিউটার বিজ্ঞান শেখার পর তাঁর বাবার (যিনি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার) কাজের দিকে আকৃষ্ট হন। সেই থেকেই শুরু। এছাড়াও তিনি মাত্র সাত বছর বয়স থেকেই কোডিং শুরু করেন, ফলে পরবর্তীতে এআই ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে তাঁকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।
মাত্র ১১ বছর বয়সে তাঁর পরিবার ফ্লোরিডায় স্থানান্তরিত হওয়ার ফলে প্রাঞ্জলি কম্পিউটার সায়েন্সে এবং প্রতিযোগিতামূলক ম্যাথমেটিক্স প্রোগ্রামে অংশ নিতে শুরু করেন। তবে ১৩ বছর বয়সে ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গবেষণা ল্যাবে তাঁর ইন্টার্নশিপে শেখা অভিজ্ঞতাই তাঁকে স্টার্টআপে সবচেয়ে প্রভাবিত করে।
ইন্টার্নশিপের সময়, মহামারীর কারণে ভার্চুয়াল জগতেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছিলো তাঁকে। সেই সময়েই ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি-৩ বাজারে আসে। এই চ্যাটজিপিটি-৩ প্রাঞ্জলির নতুন ভাবনাকে উসকে দেয়, তিনি এমন একটি এআই বানাতে আগ্রহী হন যা যে কোনও গবেষণাকে সহজ করে তা থেকে সংক্ষিপ্তসার বাছাই করে প্রকাশ করবে।
ব্যাকএন্ড ক্যাপিটালের লুসি গুও এবং ডেভ ফন্টেনট দ্বারা পরিচালিত মিয়ামিতে একটি এআই স্টার্টআপ এক্সিলারেটরে যোগদান করেন প্রাঞ্জলি। তাঁর এআই যাত্রা ওই অনুষ্ঠানে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ডেলভ এআই এর বেটা উন্মোচন প্রোডাক্ট হান্টে দারুন সাফল্য পেয়েছেন। প্রোডাক্ট হান্ট হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা যে কাউকে বিনামূল্যে তাদের সফটওয়্যার শেয়ার করতে সাহায্য করে।
প্রাঞ্জলি আরও জানিয়েছেন যে, ডেলভ এআই এর প্রাথমিক লক্ষ্য হলো বিভিন্ন গবেষণা পেপারের উপস্থিতিতে গবেষকদের সহায়তা করা। অন ডেক এবং ভিলেজ গ্লোবাল প্রাঞ্জলিকে নিরাপদে ডেটা ট্রান্সফার এবং বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ডিবিটেক/বিএমটি