জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। শুক্রবার সকালে আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্যারাম ফেডারেশনের উদ্যোগে সংসদ সদস্যদের মধ্যে ক্যারাম বোর্ড বিতরণের বিকেলে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও দোআ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এক মিনিট নিরবতা পালনের পর পবিত্র কোরআন থেকে সুরা আল মুমিনুন ৬৭ নম্বর আয়াত তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর ইমাম হাফেজ ক্বারি ইমদাদুল হক। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন পূরণের ওপর একটি তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্যাপ্টেন কামাল ছিলেন আধুনিক মনস্ক বন্ধুবৎসল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি তরুণদের আধুনিক ও সংস্কৃত মনস্ক করার জন্য একদিকে যেমন আবাহনী ক্রীড়াচক্র করেছেন তেমনি স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেখানে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার এবং বাংলা গানে ফিউশনের প্রচলন ঘটান।
এভাবে শেখ কামালের কর্মময় জীবনকে সবার কাছে তুলে ধরতে সুস্থ্য ক্রিড়া ও বিনোদনের প্রসারে গুরুত্বারোপ করেন পলক। এসময় তরুণদের জীবনমুখী কারিগরি জ্ঞান ও বিশ্বে চাহিদা সম্পন্ন সফট স্কিল গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
এজন্য দেশের প্রতিটি হাইটেক পার্কে একটি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন এবং দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি করে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেন পলক।
স্বাগত বক্তব্যে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে ‘নির্মল তারুণ্যের অগ্রদূত’ অভিহিত করে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, নিজ গুণের কারণেই তাকে আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিড়া সংগঠক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রতিটি হাইটেক পার্কে তৈরি করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার। এখান থেকেই তৈরি হবে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ শেখ কামাল।
ইতিহাসের বিরল চিত্রপট আর স্মৃতি রোমন্থনে বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং শেখ কামালের ইস্পাত কঠীন ব্যক্তিত্ব, সুক্ষ্ম জীবনবোধের নানা অনালোচিত অধ্যায় উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক আইজিডব্লিউ অপারেটর্স ফোরামের চেয়ারম্যান এ কে এম সামসুদ্দোহা। শেখ কামালের এই সহযাত্রী বন্ধু বলেন, সে ছিলো একজন অলরাউন্ডার ক্ল্যাসিকাল স্ট্রং পার্সন। ইতিহাসে তার সমালোচনার কোনো স্থান নেই।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ক্ষণজন্মা শেখ কামাল যে আদর্শ রেখে গেছেন, প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন, দেশের প্রতি অবদান রেখেছেন, ব্যক্তি জীবনে তা ধারণ করার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমেই নতুন প্রজন্ম তার আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করবে। তিনি কর্মের মাধ্যমেই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।