বিদেশগমন ইচ্ছুক কর্মীদের নিবন্ধনসহ নিরাপদ বিদেশগমনে সার্বিক সহায়তার পেতে সেবা পেতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করলো আমি প্রবাসী লিমিটেড। বুধবার আগারগাওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি সম্মেলন কেন্দ্রে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে সই করেন আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব আতাউর রহমান খান, আমি প্রবাসী লিমিটেড কো-ফাউন্ডার ও সিইও নামির আহমেদ নূরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘সমস্যার দ্রুত সমাধানই স্মার্টনেস’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। আর সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি উপদেষ্টার পরামর্শে প্রবাসী, পোশাক ও কৃষি খাতের পর আইসিটি খাতকে বাংলাদেশের চতুর্থ শিল্প খাত হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অ্যাপের খরচ বিবেচনার আগে এর ‘ইন্টেলেকচ্যুয়াল রাইট’ বিবেচনায় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। তিনি বলেছেন, যে ব্লকচেইন উদ্ভাবন করেছেন তার মূল্য আছে। তাই ব্লকচেইন ফ্রি বলার কোনো কারণ নেই। প্রতিটি ব্যবসায় প্রস্তাবনার খরচ আছে। কিন্তু ফেয়ার মূল্য নির্বাচন খুবই জটিল। তাই খোলা মনে এর মূল্য বিচার করতে হবে। মূলত এই অ্যাপ দিয়ে কত দ্রুত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো সেটাই মুখ্য।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমরান আহমেদ আরো বলেছেন, কানেক্টিভিটি এসময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন কোনো কিছু করতে গেলেই কিছু কিছু গ্লিচ হবে। কিন্তু কীভাবে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে পারি তার ওপরই নির্ভর করে স্মার্টনেস।
আর সব কিছু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ না করে বিএমইটি-তে থাকা সার্ভারের সমস্যা সমাধানে দ্রুত সল্যুশন আসবে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপকে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপ হিসেবে অবহিত করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, সরকার ব্যবসার ক্ষেত্র তৈরি করায় এটা সম্ভব হয়েছে। আইসিটি বিভাগের ‘পরিচয়’ ও ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ এর পেছনে কাজ করছে। ফলে ১১ লাখ প্রাবাসীকে আমরা নির্বিঘ্নে বিদেশে যেতে পেরেছেন। এইসময়ে পরিচয় ডট গভ বিডি’র কাছ থেকে প্রায় ৭০ কোটি টাকার সুবিধা পেয়েছে সুরক্ষা অ্যাপ। ইন্টারঅপারেবলিটি ও ইন্টিগ্রেটেড প্লাটফর্ম নিয়া বাস এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে এনআইডি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিএমইটির মতো ডেটাবেজে আলাদা ভাবে যাওয়ার দরকার নেই। শুধু পরিচয় ডটগভ ডটবিডি-তে থেকে সব ভেরিফিকেশন করে নিতে পারবেন। আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে তখন নিবন্ধনের পাশাপাশি লেনদেন, প্রশিক্ষণ সবই হবে ক্যাশলেশ, পেপারলেস, ফেশলেস ও কন্ট্যাক্টলেস।
আগামী দিনে, ভূমি, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, রেল ও জুডিশিয়ারিসহ প্রত্যেকটি জায়গায় এই স্মার্ট চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেছেন, এখন আমাদের টার্গেট ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে স্মার্ট সেন্টারে রূপান্তর করা। সেন্টারে না এসেও প্রবাসীদের সেবা হাতেরমুঠোয়ে পৌঁছে দেয়া হবে। এটুআই-এর একশপ একপে এই অ্যাপে যুক্ত করে দেবো। একইভাবে ইন্টারনেট প্রটোকল ফোন কল সরবারাহ করতে পারবো।
বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ।
আমি প্রবাসী অ্যাপ ব্যবহার করে বিদেশে যেতে সরকারি প্রতিটি ধাপ ঘরে বসেই করা যায়। এরই মধ্যে অ্যাপটি ৫০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে চাকিরির সত্যায়ন।