ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের ২০তম লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মাসে ইএফডি যন্ত্র ব্যবহার করে যারা কেনাকাটা করেছেন তাদের কেনাকাটার চালানপত্র কূপন হিসাবে লটারিতে ব্যবহার করা হয়। এতে চট্টগ্রামের ওয়েলফুড থেকে ৮৭ টাকার মিষ্টি খেয়ে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন ওই এলাকার এক ব্যক্তি। তার ইএফডি নম্বর ছিলো 003622QAZLC050।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত লটারির নম্বর ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান এনবিআর সদস্য (মূসক মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন) মইনুল খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীরিক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) ড. আব্দুল মান্নান শিকদার।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে ভ্যাট এসেছে ৩৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা। গত অর্থ বছরের আগস্টের তুলনায় এবার ২৫ শতাংশ বেশি রাজস্ব এসেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের আগস্টে ইএফডির মাধ্যমে ভ্যাট এসেছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। ত বছরের আগস্টের তুলনায় ইনভয়েসিং ১৫ শতাংশ বেড়েছে। ওই মাসে মোট ইনভয়েসিং হয় ১৭ লাখ ১০ হাজার, যেখানে ২২০ কোটি টাকা বিক্রির বিপরীতে ভ্যাট আসে ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। আমরা মনে করি এই খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। যখন ৩ লাখ মেশিন বসানো হবে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে আরও সফলতা আসবে। এজন্য সচেতনতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, এবারের লটারিতে এ পর্যন্ত তিনজন প্রথম পুরস্কার নিয়েছেন। এছাড়া ১০৩ জন লটারির পুরস্কার পেয়েছেন। এতে দ্বিতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বর হলো- 001322TDTZDFX705। তারা পেয়েছেন ৫০ হাজার করে টাকা। তৃতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত লটারির নম্বরগুলো হলো- 002322FTKECBD653, 001122SNBFEFL846, 000122HLRKXLB516, 000322GQRSLVJ457 ও 000122HTEEMBP150। তাদের পুরস্কার ছিলো ২৫ হাজার টাকা । এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৯৩ জনকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট ইএফডির উদ্বোধন করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। আর গত মাস অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সাত হাজার ৭৮৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি যন্ত্র বসিয়েছে এনবিআর।
ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাট প্রদানকারীদের পুরস্কৃত করতে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়। লটারির ড্র এনবিআরের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া তিন কার্যদিবস পর পত্রিকায় ফল প্রকাশ করা হবে।