প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের তথ্য নিজ নিজ দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও হালনাগাদ রাখতে সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ১০ প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কীভাবে উৎপাদন বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পথ খোঁজার পরামর্শ ছাড়াও রেমিট্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
রোববার (২৭ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভার সূচনা বক্তব্যে এসব নির্দেশনা দেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে। যাতে যে কেউ যেকোনো তথ্য ওখান থেকে জানতে পারে, নিতে পারে। সেখানে আমাদের সাফল্যগুলো তুলে ধরতে হবে। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে যদি এই সাফল্যগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট করে সেগুলো তুলে ধরে, তাহলে মানুষ কিন্তু জানতে পারবে যে কী কী কাজ আপনারা করলেন।’
সরকার প্রধান আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক পরিস্থিতিতে ভালো ও মন্দ দুই ধরনের প্রভাবই পড়েছে। অনেক সময় অপপ্রচারের মুখোমুখিও হতে হয়। এসব বিষয়েও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়ালি বৈঠক হলেও সরাসরি সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়নি দীর্ঘদিন। এক বছরেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত এই সভায় সরকারি সেবা প্রদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়।
আগামীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে এলে সংকট অনেকাংশে কেটে যাবে বলে আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে আমাদের গ্রিড লাইন নির্মাণকাজ আরও দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
এসময় তিনি সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সামাজিক পরিস্থিতিতে তার ভালো ও মন্দ দুই ধরনের প্রভাবই পড়েছে এবং অনেক সময় অপপ্রচারের মুখোমুখিও হতে হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল হাসান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বিটিআরসি চেয়ারম্যান টেলিকম খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, বিশ্বের ২৩০ দেশের মধ্যে ইন্টারনেটের কম দামে ৮ নম্বরে বাংলাদেশ। এছাড়াও সরকারি সেবার ডিজিটাল রূাপন্তর নিয়ে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন আইসটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম।