পণ্য বৈচিত্রকরণের মাধ্যমে কৃষি, পোশাক ও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরতা কমাতে আইটি, আইটিইএস এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং অটোমোবাইল খাতকে প্রস্তুত করছে সরকার। চলতি বছরকে প্রযুক্তি বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প পূরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পণ্য দেশেই তৈরি করে আমদানী নির্ভরতা থেকে রফতানীমুখী দেশ হতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। আর ২০৩০ সালের পর যেহেতু বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ফুয়েল ইঞ্জিন ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় লাল-সবুজের দেশ।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত দেশী অটোমোবাইল কোম্পানি রানার অটোমোবাইলের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করলো সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই।
রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এটুআই সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহম্মাদ হুমায়ূন কবীর ও রানার অটোমোবাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রিয়াজুল ইসলাম।
ভবিষ্যতের অটোমেবাইলসহ জীবন ঘনিষ্ট উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বে উদ্ভাবনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতেই এই চুক্তি বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর ‘গ্রাম হবে শহর’ রূপকল্প বাস্তবায়নে স্বল্পমূল্যে ইলেকট্রিক গাড়ি দেশেই তৈরি করছি। টু-হুইলারের পর ফোর হুইলারের গাড়ি বানিয়েছেন। এখন এটি বাজারজাতের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন।
তার এই অপেক্ষার অবসানে আইসিটি বিভাগ এরই মধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার মান বাড়ছে। তাই এখন যে মোটরসাইকেল চালাতো আগামীতে তার চার চাকায় চড়ার স্বপ্নটাও পূরণ হবে। এজন্য আমি ইতিমধ্যেই সেতু মন্ত্রী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এবং শ্রেডা ও বিআরটিএ’র কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছি। অল্পদিনের মধ্যেই একটা পলিসি ডায়ালগ করবো যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইলেকট্রিক ভেহিক্যালের জন্য রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া যায়। তারা যেনো রাস্তায় চার্জিং স্টেশন করতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেতৃত্বকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উপস্থাপন করতে পারবো।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রযুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়াই এটুআই এর সবচেয়ে বড় সাফল্য বলে মন্তব্য করেন পলক।
এটুআই এর ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটি উপস্থাপনা দেয়া তুলে ধরা হয়। এছাড়াও আই ল্যাবের হেড অফ টেক ফারুক আহমেদ জুয়েল আইল্যাবের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীর কাছে ১৩টি মেধাসত্ব সনদ হস্তান্তর করেন।