গ্রোথ স্টেজের উদ্যোক্তাদের পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে স্টার্টআপ বাংলাদেশের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, স্টার্টআপ কোম্পানির বিনিয়োগ সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে পুঁজিবাজার সম্পর্কিত যে কোনো জিজ্ঞাসার জবাব এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে একটি ডেডিকেটেড হেল্পডেস্ক প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়াও স্টার্টআপগুলির কারিগরি সক্ষমতা ও সুযোগগুলি চিহ্নিত করতে শিল্প বিশেষজ্ঞ, স্টার্টআপ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সরকারী ও বেসরকারি পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক একচেঞ্জ কার্যালয়ে এই চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তিতে সই করেন ঢাকা স্টাক এক্সচেঞ্জ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ডিএসই চেয়ারম্যান মোঃ এনায়েতুর রহমান উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়্যাতুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
চুক্তি পরবর্তী টেক স্টা্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে অনুষ্ঠিত প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ মোবাইল ফোনের চাহিদা দেশে তৈরি থেকেই যোগান দেয়া হচ্ছে। গত বছরে আমরা ল্যাপটপ রপ্তানি করে ১০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছি।
প্রযুক্তি সহায়তা দিয়ে আইসিটি বিভাগ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বিশ্ব নেতেৃত্বস্থানীয় করতে কাজ শুরু করেছে জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিএসইসি-তে আরো বেশি প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরো বেশি সক্ষম করে দ্রুততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বিশ্বমানের সেবা দিতে পারি সে জন্য আমরা ইতিমধ্যেই একটি অ্যাসেসমেন্ট করেছি। এ জন্য আমরা ৭-১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করবো। প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী এসইসি হিসেবে গড়ে তুলবো।। এর মাধ্যমে স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ করতে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে। দেশে একটি স্টার্টআপ ইকো সিস্টেম গড়ে তোলা সহায়ক হবে। সিলিকনভ্যালি থেকে শুরু করে চিলি, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও সিংগাপুরের মতো স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে; তেলআবিব যেভাবে সাইবার সিকিউরিটি ক্যাপিটাল হয়েছে আমরাও সেভাবে পাঠাও, বিকাশ, চালডাল, সেবাএক্সয়াইজেড ও শপআপ এর মতো ১০ শতাংশ স্টার্টআপ নিয়ে ৯০ শতাংশের ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবো।
তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগ থেকে সাড়ে ২৫০০ স্টার্টআপ ১০ লাখ অনুদান দেয়া হলে এদের মধ্যে ৫ বছরের মধ্যে শত মিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রূপন্তরিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব স্টাটআপ ৫০ বিলিয়ন বিদেশী বিনিয়োগ এনেছে। এই কয়েকটি কোম্পানি ১৫ লাখ কর্মসংস্থান করেছে। তাই এবার আমরা স্টার্টআপ বাংলাদেশ থেকে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫০০ কোটি টাকার ইক্যুইটি বিনিয়োগ করবো।
সিড, গ্রোথ, গাইডেড, টার্গেড এই চার স্তরে স্টার্টআপকে বিন্যস্ত করে স্টার্টআপগুলোকে যথাযথ সহায়তা দেয়া গেলেই আগামীতে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ডিজিটাল ইকোনোমির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে দ্রুত একটি ইনোভেশন ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।