শেষ হলো ভার্চ্যুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা চ্যাটবট তৈরি, ম্যানুয়াল প্রসেসের অটোমেশনকল্পে সমাধান তৈরি এবং সার্ভারলেস ইমারজিং ও ইনোভেটিভ সমাধান তৈরির প্রথম সিটিও ফোরাম ইনোভেশন হ্যাকাথন-২০২০। শনিবার রাতে ক্লাউডে সমস্যার ডিজিটাল সমাধানের প্রোটোটাইপ তৈরির পর সেগুলোর ভিডিও ইউটিউবে জমা দানের মধ্যে শেষ হয় টানা ৪৮ ঘণ্টার এই ডিজিটাল উদ্ভাবন প্রতিযোগিতা।
এখন জমা দেয়া প্রকল্পগুলো বিচার করছেন অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের সিনিয়র সলিউশন আর্কিটেক্ট রামেশ দ্বারকানাথ ও আমাজন ওয়েব সার্ভিসের সল্যুশন আর্কিটেকচার লিডার মোহাম্মাদ মাহদি উজ্জামান এবং ইঞ্জিনিয়ার সফটওয়্যার টেটন প্রাইভেট লিমিটেডের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাজীব হাসান।
রবিবার রাতে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নাম। ভার্চুয়াল সমাপনীতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসাইন।
প্রতিযোগিতা বিষয়ে করিগরি ও যোগাযোগ সমস্যার কারণে তিনটি দল যথাসময়ে প্রকল্প জমা দিতে না পাড়ায় প্রতিযোগিতার সময় শনিবার সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টা বাড়ানো হয় বলে জানিয়েছন সিটিও ফোরাম সভাপতি তপন কান্তি সরকার।
তিনি জানিয়েছেন, অতিমারির কারণে এবার সীমিত আকারে আয়োজন করা হলেও মার্চে অনুষ্ঠিত হবে মেগা হ্যাকাথন।
সূত্রমতে, প্রথস এই ইনোভেশন হ্যাকাথনে নিজেদের উদ্ভাবনী প্রকল্প নিয়ে অংশ নেয় ১২টি দল। ২-৬ জন মিলে প্রতিযোগিতায় দলীয় ভাবে অংশ নেয় প্রতিযোগীরা। দলগুলো হলো- ‘ঘাসফড়িং’, ‘ডিজি ট্রি’, ‘ব্লু-বার্ড’, ‘আলফা’, ‘দ্য জুলাস’, ‘স্কয়ার সফটওয়্যার টিম’, ‘সিস্টেম অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অ্যাডমিন’, ‘ডার্ক লাইট’, ‘কোকোনাট’, ‘হিলিয়াস’ও ‘এমইউবিসি’।
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মেন্টিরিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন মোঃ মাহমুদুর রহমান, কাজী ইমদাদুল ইসলাম অনিক এবং পার্থ সারাথি কুন্ডু।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণদের আরও দক্ষতা বাড়াতে বৃহস্পতিবার এই হ্যাকাথনের উদ্বোধন করেছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দ সিকদার।