স্যামসাং ‘আল্ট্রা’ সিরিজের গ্যালাক্সি এস ২৩ ‘স্পেস জুম’ক্যামেরা ফিচার নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছেন আ্যমেরিকান কমিউনিটি ফোরামের এক ব্যবহারকারী। ফোরামের ওই সদস্য রেডিটে দাবি করেছেন, ফোনটির ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের স্পষ্ট ছবি তোলা সম্ভব বলে স্যামসাং যে দাবি করে আসছে সেটি ভুয়া।
তার মতে, ক্যামেরার লেন্সে মূলত ছবি ঝাপসাই থাকে। তবে ছবিটা প্রসেসিংয়ের সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সফটওয়্যার দিয়ে তাতে চাঁদের ‘দাগগুলো’ বসিয়ে দেয়।
আইব্রেকফটোজ নামের ওই রেডিট ব্যবহারকারী এই মন্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করেছে প্রযুক্তি সাইট দ্য ভার্জ। খবরটি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় তালিকায় উঠে আসে। এরপর মঙ্গলবার ঘণ্টাখানেকের জন্য ‘আউটেজ’ হয়ে গিয়েছিলো পোর্টালটি।
ফোনটি নিয়ে করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছবির সত্যতা পরীক্ষার জন্য রেডিট ব্যবহারকারী ইন্টারনেট থেকে চাঁদের একটি হাই রেজ্যুলেশনের ছবি ডাউনলোড করেন। পরে সেটিকে ১৭০*১৭০ পিক্সেলে ছোট করেন। তারপর তিনি ছবিটাকে ফটোশপের মাধ্যমে ঝাপসা করেন। এরপর তিনি একটি কম্পিউটার মনিটরে ছবিটি ফুল-স্ক্রিন করেন। এরপর ঘর অন্ধকার করে দূরে গিয়ে দাঁড়ান। এরপর স্যামসাংয়ের ফোনে সেই স্পেস জুম ব্যবহার করে চাঁদের ছবি তোলেন। এরপর দেখা যায়, সেই ঝাপসা ছবিই একেবারে ঝকঝকে হয়ে এসেছে স্যামসাংয়ের ফোনে। যেখানে আসল ছবিটাই ঝাপসা, সেখানে ফোনে কীভাবে এত স্পষ্ট ছবি এসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রেডিটে আইব্রেকফটোজ লিখেছেন, ‘ক্যামেরায় আসল ছবিটা ঝাপসা আসে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ছবিটা সংশ্লেষণ করে নিখুঁত করা হয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে চাঁদের গহ্বরগুলি বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখনই এই বিষয়ে একটি তদন্ত হওয়া উচিত। অনেকেই এস২০ আল্ট্রার লেটেস্ট জুম লেন্স দিয়ে তোলা চাঁদের ছবি দেখে অবাক হয়েছেন। কিন্তু আমার এর সত্যতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ ছবিগুলো একটু বেশিই নিখুঁত। ছবিগুলি একেবারে ভুয়া, তা বলছি না। তবে সম্পূর্ণরূপে আসল, এমনটাও নয়।’
এই লেখার নিচে অনেকেই বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। কেউ আবার বলেছেন, অভিযোগটি নতুন নয়। এটা একটি পুরোনো বিষয়।