রাজধানীর শ্যামলীতে গম গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পেছনে পাওনা টাকা ও জমি আত্মসাতের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাকির হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সূত্র ধরে তাকে টাকা ধার দিয়েছিলেন নিহত শহীদ আনোয়ার (৭২)। সেই টাকা ফেরত চাওয়ায় কাল হয় তার। এর আগে প্রথমবার হত্যাচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয়বার সফল হয় জাকির হোসেন (৩৭)। এ কাজে তার সহযোগী মো. সাইফুলকেও (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-২ এর অভিযানে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বিষয়ে র্যাব জানায়, আনোয়ার গম গবেষণাকেন্দ্রে ১৯৭৬ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে পরিচালক পদ মর্যাদায় প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার সর্বশেষ কর্মস্থল জয়দেবপুর থেকে অবসর নেন। চাকরি জীবনের সবটুকু সময় তিনি গবেষণার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি কর্মস্থলে সামাজিকভাবে অত্যন্ত বন্ধুবৎসল এবং পরোপকারী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আনোয়ার ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন। তবে, তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে তিনি আর বিয়ে করেননি। তার কোনো সন্তান নেই। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায়।