অনলাইনে পেইজ খুলে ক্যামেরা বিক্রির কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ নড়াইলে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় গোয়েন্দা পুলিশ। এরা হলেন- উপজেলার কলামনখালী গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে মো. সবুজ শেখ (৩৫) ও খুলনা সদর উপজেলার ট্রাফিক মোড় এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে মো. মাহফুজুর রহমান (২৩)।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে দুটি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাব, ১২৬টি সিম, তিনটি মোবাইল ফোন, দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নড়াইল পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান জানান, প্রতারক চক্রটি ‘ডিএসএলআর ক্যামেরা বাজার স্টোর’ নামে অনলাইনে পেইজ খুলে থেকে ক্যামেরা বিক্রির কথা বলে নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার তৈয়ব আলী মোল্লার কাছ থেকে অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়। অগ্রিম টাকা পাওয়ার পরও চক্রটি নানা ছলচাতুরি করে ওই গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে আরও ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তৈয়ব আলী নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আলী হোসেন তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিম বিক্রেতাকে আটকে অভিযানে নামে পুলিশ।
সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর বাজার থেকে একজন এবং খুলনার রুপসা পশ্চিম ঘাট এলাকা থেকে অপরজনকে গ্রেফতার করা হয় বলে । আলাদা অভিযান চালিয়ে অবৈধ সিম বিক্রির সময় যাদবপুর বাজার থেকে ৯০টি সিমসহ সবুজ শেখ এবং খুলনার রুপসা থেকে মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সবুজ শেখ প্রতিটি সিম মাহফুজুরের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে কিনে এক হাজার ৫০০ টাকায় কালিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন বলে স্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।