দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে মাঠে থাকছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশে বহিরাগতদের শনাক্ত করতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান ব্যবহার করতে যাচ্ছে এই অনসাইট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ওআইভিএস) প্রযুক্তি। আঙ্গুলের ছাপের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর কিংবা জন্মতারিখের তথ্য দিয়ে যে কারও সম্পর্কে সহজেই তথ্য পাওয়া যায় মোবাইল সদৃশ যন্ত্রটিতে।
কোনো ব্যক্তি যদি অপরাধী হয়, তাহলে তার নাম পরিচয় সহ যাবতীয় তথ্য এই ডিভাইস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করবে। ওই ব্যক্তি যদি অপরাধী বা তার নামে কোন মামলা থেকে থাকে বা পলাতক আসামি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে খুঁজে তথ্য দেবে এই ডিভাইস। একইসঙ্গে ডিভাইসটি হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি এমনকি মৃত ব্যক্তিকেও শনাক্ত করতে পারে।
এ নিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট নিশ্চিত করতে এবারই প্রথমবারের মতো র্যাব ওআইভিএস ব্যবহার করছে। নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে যারা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করবে তৎক্ষণাৎ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করাসহ ভোট কেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকায় ঘোরাঘুরি করা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সনাক্তসহ ডিভাইসটির মাধ্যমে খুব সহজেই সহিংসতাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
র্যাবের পক্ষ থেকে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব দায়িত্ব পালন করছে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রতিটি সংসদীয় আসনে র্যাব সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা এবং ভোটকেন্দ্রের আশপাশে ঘোরাঘুরি না করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা রয়েছে।
ওই নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে র্যাব বলেছে, ভোটকেন্দ্র ও এর আশপাশের এলাকায় বহিরাগতদের পরিচয় শনাক্তে টহল দলের কাছে ওআইভিএস থাকবে। তাছাড়া এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে কি না তা ধরতেও যন্ত্রটি ব্যবহার করবে র্যাব।
দীর্ঘদিন ধরে পলাতক বা আত্মগোপনে থাকা অপরাধীরা ভোটের মধ্যে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে, সেজন্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওআইভিএস ব্যবহার করে তাদের শনাক্ত করে র্যাব আইনি ব্যবস্থাও নেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, ডিভাইসটি র্যবের ১৫ ব্যাটালিয়ন ও কোম্পানি পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়েছে এবং তা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডাররা ডিভাইসটি পরিচালনা করছেন। ওআইভিএস ডিভাইসটি ব্যবহারের শুরু থেকেই অপরাধী শনাক্তসহ অজ্ঞাতনামা ভুক্তভোগীর পরিচয় নিশ্চিতে র্যাবের সাফল্য মিলছে।