শুয়ে-বসে আয়ের লোভে দুবাইভিত্তিক অ্যাপ মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ গ্রুপ বা এমটিএফই-তে পুঁজি খাটিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন দেশের লাখ লাখ মানুষ। তবে অবৈধ হওয়ায় প্রতিকারের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যায়নি কেউই। বিকেল থেকেই ফেসবুক গ্রুপগুলো বন্ধ করতে শুরু করেছে স্থানীয় এজেন্টরা। তবে তার আগেই মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের এমটিএফইর সিইও পরিচয় দেওয়া সাদ আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন মনিরুজ্জামান ইমন নামে এক ভুক্তভোগী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম সারওয়ার। জানিয়েছেন অভিযুক্ত সাদ আলম চৌধুরীর বাসা জয়পুরহাট পৌর এলাকার ইরাকনগর মহল্লায়। তার বাবার নাম সহিদুল আলম। আর অভিযোগকারী মনিরুজ্জামান ইমন জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেওয়ানপাড়া মহল্লার মহসিন আলীর ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এমটিএফইর শেয়ার কেনার মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে মনিরুজ্জামান ইমনের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার হাজারও শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমটিএফই। জয়পুরহাট জেলায় এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন সিইওর মধ্যে সাদ হোসেন চৌধুরী শহরের সবুজনগর এলাকায় অফিস খুলে মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে এমন প্রতারণা করেছেন। প্রতারকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে, সরাসরি অফিসে ডেকে এবং বিভিন্ন সেমিনারের মাধ্যমে শেয়ার কেনার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছেন। বর্তমানে সাদের অফিস তালাবদ্ধ এবং তিনি পলাতক।
অবশ্য এমটিএফই অ্যাপে বিনিয়োগ নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে ২৩ জুলাই রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম।
এদিকে স্ক্যামের ঘটনায় গত সপ্তাহেই গোয়েন্দা জালে আসেন গ্রুপটির ৪০০ সিইও। তবে তার আগেই ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট থেকে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১৫ হাজার ব্যক্তির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।
দোষীদের আইনের অধীনে আনতে একসঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট।