২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে করপোরেট কর বাড়ানোর বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। একই সঙ্গে সরকারি সকল অনুদান, ভাতা ও আর্থিক সহায়তা মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারের বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, “স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে দ্রুততার সঙ্গে সরকারি বরাদ্দ বা অনুদান পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নগদ-ই এখন সরকারের প্রথম পছন্দ। গতবছর সরকারি সকল ভাতা নগদ-এর বিতরণের জন্য অনুশাসন প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন অনুসারে একে একে সকল সরকারি সংস্থা নগদ-এর মাধ্যমে তাদের ভাতা বা অনুদান বরাদ্দ করছে, তাতে পুরো বিষয়টিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং নজরদারি থাকছে। তাছাড়া, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অনুদান যদি এমএফএস-এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয় তাহলে সেটি এক দিকে যেমন আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিত করবে অন্যদিকে আবার দেশের আর্থসামাজিক খাতেও বড় অবদান রাখবে।”
‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, ‘নগদ’ সরকারের পুরো ভাতা বিতরণ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করবে এবং জনগণও কোনো রকম ঝক্কি ছাড়াই তাদের প্রাপ্য বুঝে পাবে। গতবারের মতো এবারও সরকার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা বিতরণ করবে বলে আশা করি।”
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ ১৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৪ কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এই বরাদ্দ দেশজ মোট উৎপাদনের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। একই সঙ্গে ১৪ লাখ দরিদ্র মানুষকে নতুন করে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতায় অন্তর্ভূক্ত করছে সরকার।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগদ জানিয়েছে, কোভিডের পুরো সময়টাতে সরকারি ভাতা ও আর্থিক সহায়তা বিতরণের ক্ষেত্রে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিশেষ করে ‘নগদ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তাছাড়া দেশে ক্যাশলেস লেনদেনে উৎসাহ দিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ‘নগদ’।
২০২০-২১ অর্থবছরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতায় সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির যে ভাতা বিতরণ করেছে তার ৭৫ শতাংশ বিতরণের দায়িত্ব পেয়েছে ‘নগদ’। তাছাড়া দুই দফায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঈদ উপহার বিতরণ, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক, খামারী ও মৎস চাষীদের ভাতা দেওয়াসহ নানা ক্ষেত্রে ‘নগদ’ নেতৃত্ব দিয়েছে। সবমিলে সবচেয়ে নিরাপদে সরকারি ভাতা জনগণের মাঝে বিতরণের ক্ষেত্রে ‘নগদ’ একটি উদহারণ তৈরি করেছে।
সরকারি ভাতা ও আর্থিক অনুদান ক্যাশ আউট করতে উপকারভোগীকে অতিরিক্ত কোনো অর্থ খরচ করতে হয় না। আর এর ফলে ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে এই খাতে বরাদ্দকৃত ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা কভিড মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রেখেছে।