একুশ পরবর্তী সময়ে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উদ্ভাবক থেকে উদ্যোক্তা তৈরি এবং গবেষণা ও উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে সরকার। এক্ষেত্রে কানেক্টিভিটি প্রযুক্তি অন্যতম ভূমিকা পালন করবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত ‘একুশ পরবর্তী ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় এমনটাই জানান বক্তারা।
তাদের প্রত্যাশা, সংযোগ (কানেক্টিভিটি) নিশ্চিত করতে পারলে একুশ পরবর্তী সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের মতো দেশে মানব সম্পদ রপ্তানি করতে হবে না। তখন মেধাজাত সম্পদের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে। আর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ৫জির কারণে পোশাক শিল্পে চাকরি হারানোর ভয় থাকবে না যদি না ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে প্রযুক্তি দক্ষকর্মী গড়ে তোলা যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিউপি) উপাচার্য মোঃ এমদাদ উল বারীর সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ পেশ করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য ড.মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ নূর-উর-রহমান।
আলোচনায় বংলাদেশের মানুষ সহজেই এবং খুব দ্রুত নতুন প্রযুক্তি শিখতে পারে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইতিমধ্যেই জাাপান আমাদের তরুণদের দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করতে শুরু করেছে। ২০২০ সালে বাংলাদেশ অভাবনীয় সমৃদ্ধি লাভ করবে। ইতিমধ্যেই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা ব্যবহার করে দেশে প্রতিদিন ১২৬১ কোটি টাকা লেনদেন করছে। এটা করছে রিক্সাচালক, দিনমজুরেরা। যারা অক্ষর চেনে না; তারাও মোবাইলে অর্থ আদান-প্রদান করছে। এটাই আমাদের শক্তি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, একুশ পরবর্তী সময়ে সময় ও মহাকশা জয় করতে পারবো আমরা। কেননা, ইতিমধ্যেই আমরা সন্তানদের কাছে পরাজিত হতে শুরু করেছি। তারা জ্ঞানে, দক্ষতায় এগিয়ে যাচ্ছে।