অবশেষে জামিনে কারা মুক্ত হলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি চেয়ারম্যান শামীমা নাসরীন। গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে প্রায় সাত মাস (২০২) দিনপর কারাগার থেকে বুধবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তবে তার স্বামী ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল এখনো কারাগারে আটক আছেন।
এ বিষয়ে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন জানিয়েছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ধানমন্ডি থানার এক মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি। তার জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে কারামুক্ত করা হয়।
শামীমা নাসরীনের আইনজীবী জানিয়েছেন, দায়েরকৃত মামলায় বাদীপক্ষের সঙ্গে তার মক্কেল শামীমা নাসরীন আপস করেছেন। আপসের ভিত্তিতেই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
সূত্রটি বলছে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে একটি সিআর মামলার জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র কারাগারে আসার পর যাচাইবাছাই করে শামীমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। শামীমা গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ইভ্যালিকাণ্ডে ছয় মাস আগে গ্রেফতার হন শামীমা নাসরীন। তার বিরুদ্ধে ৩০টির মতো মামলা রয়েছে। এসব মামলার বেশিরভাগ বাদীর সঙ্গে আপসের ভিত্তিতে শামীমা জামিন পান শামীমা। সবশেষ প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হলেন ইভ্যালি চেয়ারম্যান।
২০২১ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসাইন নামে এক ব্যক্তি বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ইভ্যালি ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে কম মূল্য অফার করে। পরে তিনি ও তার আর এক বন্ধু মোট ২৮ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করেন এবং টাকা পরিশোধ করেন। ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলে প্রতিষ্ঠানটি তা করেনি।
চলতি বছরের ৩০ মার্চ গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে পাঁচ মাস আগে গ্রেফতার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়া জামিন পেয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষ ও আসামির মধ্যে আপস হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করা হয়।