সাতটি মামলাতেই জামিন পেয়েছেন ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রিপন মিয়া। ফলে এখন যে কোনো সময়ই তিনি কারামুক্ত হতে পারেন। তবে এখন যেনো তিনি পালিয়ে না যেতে পারেন সে জন্য সরকারের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান প্রত্যাশা করছেন পাওনাদাররা।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ বলেছেন, ‘রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে। সব কটিতেই জামিন পেয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। যাচাই–বাছাই শেষে তিনি কারামুক্ত হবেন।’
অপরদিকে রিপন মিয়ার আইনজীবী শহীদ উদ্দিন মিয়া বলেন, এসব মামলায় বাদীপক্ষের সঙ্গে তার মক্কেল রিপন মিয়ার আপস হয়েছে। আপসের ভিত্তিতেই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে ছয়টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। রোববার বাকি মামলাতেও জামিন পান তিনি।
প্রসঙ্গত গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায়ে প্রায় ছয় মাস আগে আটক হন রিপন মিয়া। তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা হয়। এরপর গত ৭ মার্চ মতিঝিল থানার একটি মামলায় জামিন পান রিপন মিয়া। জামিন আদেশে ওই দিন আদালত বলেছিলেন, ‘মামলার বাদীপক্ষ ও আসামির মধ্যে আপস হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করা হলো।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কিউকম ডটকমের পক্ষ থেকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালু ও রিপন মিয়ার জামিন বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়।
ওই আবেদনে কিউকমের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩৯৭ কোটি টাকার অধিক টাকা গেটওয়েতে আটক আছে। আর গুদামঘরেও প্রায় শতকোটি টাকার পণ্য মজুত রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা ৬ হাজার ৭২১ জন গ্রাহকের কাছে ফেরত দেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এই মামলায় আটক হয়ে জামিনে আছেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস (কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন) অফিসার হুমায়ুন কবির ওরফে আরজে নিরব।
কিউকমে পণ্য কেনার আদেশ দিয়ে যারা পণ্য পাচ্ছেন না বা টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না, তাদের একজনের সঙ্গে রোববার রাতে কথা বলা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রাহক বলেন, এখন উচিত হবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পক্ষ থেকে সব বন্দরে চিঠি দেওয়া, যাতে রিপন মিয়া বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন।