দ্বিতীয় পর্বে অনলাইনে ষষ্ঠ বর্ষপূর্তী উদযাপন করলো ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন ই-ক্যাব। সংগঠনের ১৩৮০ সদস্যের মধ্যে যারা স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কারণে সরাসরি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি তাদের জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠান চলে আড়াই ঘণ্টার মতো।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমালের সঞ্চালনায় ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সহসভাপতি সাহাব উদ্দীন শিপন, সহ-সম্পাদক নাসিমা আক্তার নিশা, কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্য আশীষ চক্রবর্তী, আসিফ আহনাফ, জিয়া আশরাফ ও সাইদ রহমানসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ সদস্য লোকডাউনে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত উৎসবটিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল-কমার্সের আজকের বাস্তবতা কার্যকারিতার মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে। মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে আছে ডিজিটাল-কমার্স। ভবিষ্যতে অর্থনীতির মূলচালিকা শক্তি হবে ডিজিটাল কমার্স। তিনি ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তিতে ডিজিটাল কমার্সের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য ই-ক্যাবকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে করোনাকালীন সময়ে সরকারের অনুমতি নিয়ে ঢাকার লকডাউন এলাকাসহ দেশব্যাপী নিত্যপণ্য সেবা দেয়া, ডিজিটাল গরুর হাট, আম মেলা, অনলাইনে টিসিবি’র পেয়াজ বিক্রি কার্যক্রম, মানবসেবা কার্যক্রম, মেধাবিকাশের ডিজিটাল কার্যক্রম ই-জিনিয়াস কর্মসূচীর বাস্তবায়নে মন্ত্রীর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বক্তারা। একসঙ্গে মন্ত্রীর কাছে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা।
সভাপতির বক্তব্যে ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, করোনাকালীন সরকার ও বিভিন্ন মন্ত্রণলায় যেভাবে সহযোগিতা করেছে তা আমাদের কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে। তিনি করোনাকালীন বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ই-ক্যাবের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নে ই-ক্যাবের ইসি মেম্বার, সদরস্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, করোনার ৮ মাসে ই-কমার্স সেক্টরে লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ডেলিভারী হচ্ছে প্রতিদিন, ৫০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হয়েছে, এযাবত মোট ৫ হাজার তরুনকে দেয়া হয়েছে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ, ১৬ হাজার কোটি টাকার সার্বিক ডিজিটাল লেনদেন এর মাধ্যমে ৬০ লাখ মানুষকে সেবা প্রদান করেছে ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো।