দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম দারাজ সফলভাবে তাদের বহুল প্রতীক্ষিত সেল ১১.১১ শেষ করেছে। বছরের সবচেয়ে বড় এই সেলের মাধ্যমে দারাজ এবার দুই কোটির বেশি গ্রাহককে সেবা প্রদানে সক্ষম হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনটি ২২ নভেম্বর শেষ হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এত বলা হয়, এ বছর দারাজের লক্ষ্য ছিল, সবচেয়ে বড় সেল উৎসবের মাধ্যমে সবার কাছে ই-কমার্সের সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছে দেওয়া। এ উদ্দেশ্য পূরণে তারা ১১.১১-তে অফার করেছে সেরা দাম এবং বৈচিত্র্যময় পণ্যসামগ্রী। সবচেয়ে বেশি বিক্রীত পণ্যের মধ্যে লবণ ও গুঁড়া দুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল অন্যতম। এর মাধ্যমে ক্রেতারা সঞ্চয় করতে সক্ষম হয়েছেন, যা লোকাল কমিউনিটির জীবনমান উন্নত করার যে প্রতিশ্রুতি দারাজ নিয়েছিল, তা নিশ্চিত করে।
দারাজ বিক্রেতাদের অনলাইন ব্যবসা প্রসারিত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ৩০ হাজারে বেশি ব্র্যান্ড ও বিক্রেতার ১১.১১ সেলে বিক্রয়-সুবিধা করে দিয়েছে। এ জন্য অনবোর্ডিং ওয়ার্কশপ অফার করা থেকে শুরু করে বিক্রেতাদের ব্যবসার খরচ কমানোর লক্ষ্যে নতুন কো-ফান্ডেড প্রোগ্রাম চালু করা পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় দারাজ। ফলে এবার দারাজে নন-ক্যাম্পেইন দিনের তুলনায় ১০০ শতাংশর বেশি বিক্রেতা ১১.১১-এর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে দেড় হাজার টাকা বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছেন।
এ ছাড়া দারাজ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের পাশাপাশি আয় করার সুযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বছরের ১১.১১-তে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা গত বছরের তুলনায় ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত তাঁদের আয় বৃদ্ধি করতে পেরেছেন।
দারাজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিয়ারকে মিকেলসেন বলেন, ‘অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির এ সময়ে ব্যবসার প্রভাবের মাধ্যমে সমাজকে উন্নত করার আমাদের যে প্রতিশ্রুতি, তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এ বছর আমরা ক্রেতাদের জন্য অনলাইন কেনাকাটা আরও সহজলভ্য, সাশ্রয়ী এবং ফলপ্রসূ করার পাশাপাশি বিক্রেতাদের বিক্রয় সর্বাধিক করার লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করেছি। আমরা আমাদের ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্র্যান্ড, ক্রিয়েটর, পার্টনার এবং দারাজের অসাধারণ টিমের প্রতি কৃতজ্ঞ, যাদের সহায়তা ছাড়া দারাজ ১১.১১-এর বিপুল সফলতা সম্ভব হতো না।’
দারাজের এ বছরের আরও একটি উদ্দেশ্য ছিল, সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোতে ই-কমার্সের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। দেশব্যাপী বছরের সবচেয়ে বড় সেলের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে দারাজ তাদের ডেলিভারি নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করে। ফলে এ বছর ঢাকার বাইরের বিক্রেতাদের মধ্যে ৬০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা যায়। লজিস্টিক পার্টনারদের সহায়তায় দারাজ আড়াই হাজারেরও বেশি রাইডার নিয়োগ করেছে, যাঁরা আরও বেশি বিক্রেতা এবং ক্রেতার মাঝে সংযোগ স্থাপন করছেন। এবারের সবচেয়ে দূরের প্যাকেজটি চট্টগ্রাম থেকে তেঁতুলিয়া ডেলিভারির জন্য তারা ৫৭৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে।