ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবাহার বাড়লেও গত ১০ বছরে দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কম্পিউটারের ব্যবহারের হার খুব একটা বাড়েনি। এই সময়ে কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ব্যক্তিপর্যায়ে নারী-পুরুষ অনুপাতে নারীরা কম্পিউটার ব্যবহারে ১.৭ অনুপাত পিছিয়ে। ল্যাপটপ ব্যবহারে এই ব্যবধান আরো বড়। পুরুষ ৩.৪ আর নারী ১.৯। তবে ট্যাবলেট ব্যবহারে এগিয়ে নারী। এখানে নারী-পুরুষ অনুপাতে দশমিক ১ অনুপাত এগিয়ে নারী।
বর্তমানে জাতীয় পর্যায়ে কম্পিউটার ব্যবহারের হার ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ব্যক্তি পর্যায়ে কম্পিউটার ব্যবহারে এই হার ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, পল্লীতে ৩.৩ এবং শহরে ২৬ শতাংশ খানায় কম্পিউটার রয়েছে। ৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে গ্রামে ৩.৮ এবং শহরে ২০.৪ শতাংশ হারে পিসি ব্যবহারকারী রয়েছে। এছাড়াও ল্যাপটপ ব্যবহারের এই অনুপাত ১.৭ : ৭.৫ এবং গ্রাম শহরে ট্যাবলেট ব্যবহারের হার ০.৫ ও ৭.১।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ব্যবহার জরিপ ২০২৩’ অনুযায়ী, ব্যক্তি পর্যায়ে দেশে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর হার ২০১৩ সালে ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ যেটা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২২ সালে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
খানা পর্যায়ে কম্পিউটার ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
কম্পিউটারে টিভি কার্ড লাগিয়ে অনেকে টেলিভিশন দেখলেও দেশের ৬২ দশমিক ২ শতাংশ খানায় রয়েছে টেলিভিশন। ব্যবহারকারীর হার অনুযায়ী ২০১৩ সালে ৪৬ শতাংশ ঘরে টেলিভিশন থাকলেও ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে ৬২ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২ দশমিক ২ শতাংশ।