দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্যাস্পারস্কি নেক্সট নামে নতুন ফ্ল্যাগশিপ প্রোডাক্ট লাইন নিয়ে এসেছে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল প্রাইভেসি প্রতিষ্ঠান ক্যাস্পারিস্কি। ইডিআর (এন্ডপয়েন্ট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স) এবং এক্সডিআর (এক্সটেন্ডেড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স) এর শক্তিশালী সুরক্ষা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে এই প্রোডাক্ট লাইনটি উন্মোচন করা হয়।
ক্যাস্পারস্কির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সাইবার সিক্যুরিটি ল্যান্ডস্কেপে ডিজিটাল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা লক্ষ্যণীয় হয়। বাংলাদেশ গত বছর ১১ দশমিক ৪ মিলিয়ন ইন্টারনেট-জনিত সাইবার ঝুঁকি বা ওয়েব ঝুঁকির সম্মুখিন হয়েছে। এছাড়া, স্থানীয়ভাবেও ৩৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা শনাক্ত হয়, যেখানে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর মাসে দেশের মধ্যে হোস্টকৃত সার্ভার থেকে ৭৮ হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা শনাক্ত হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্যাস্পারস্কি নেক্সট সাইবার নিরাপত্তা পণ্যের নতুন লাইন, যেখানে এআই-চালিত শক্তিশালী এন্ডপয়েন্ট সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে এবং এটি ক্লাসিক ইপিপি (এন্ডপয়েন্ট প্রোটেকশন প্ল্যাটফর্ম) থেকে অধিক কার্যকর। এটি যেকোনো আকার ও শিল্পের কর্পোরেট গ্রাহকদের ইডিআর ও এক্সডিআর সুরক্ষা প্রদান করে।
সবচেয়ে উন্নত ও কার্যকর সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশন হিসেবে ইডিআর এবং এক্সডিআর যেকোনো প্রকার সাইবার হামলা প্রতিরোধ করে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করে। ‘ক্যাসপারস্কি নেক্সট’ ক্লাউড বা অন-সাইট উভয়ভাবেই কাজ করে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক কাজগুলোর জন্য একটি সাধারণ কনসোল কিংবা বিস্তর নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য আরও উন্নত কনসোল ব্যবহার করে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নতুন প্রোডাক্ট লাইনের মাধ্যমে র্যানসামওয়্যার, ম্যালওয়্যার এবং ডেটা লঙ্ঘনের মতো ঝুঁকির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানগুলো সাইবার সিকিউরিটির সুরক্ষা আরো জোরদার করতে পারবে। এটি বিজনেস ইমেল কম্প্রোমাইজ ও সাপ্লাই চেইন অ্যাটাকের মতো ঝুঁকি থেকে ব্যবসায়িক অবকাঠামোকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে ক্যাস্পারস্কির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মহাব্যবস্থাপক ইয়েও সিয়াং টিয়ং বলেন, ক্যাসপারস্কি নেক্সট বাংলাদেশের সবরকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ইডিআর এবং এক্সডিআর জটিলতাগুলো সহজতর করবে। নতুন কিংবা এসওসি টিমসমৃদ্ধ প্রতিটি গ্রাহকের নিকট অত্যাধুনিক সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশন পৌঁছে দেয়াই আমাদের উদ্দেশ্য।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ভিক্টর চ্যু।