ঈদের মতো ছুটিতে ওঁতপেতে থাকে সাইবার অপরাধীরা। তাদের অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে সতর্ক বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (বিজিডি ই-জিওভি সিআইআরটি)।
ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিআইআই), ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং সব ধরনের সরকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আইটি অপারেশন এবং পরিষেবাগুলিতে কোনও ধরণের অনুপ্রবেশ বা ব্যাঘাত রোধ করতে সোমবার এ সংক্রান্ত একটি সতর্ক তালিকা দিয়েছে।
এছাড়াও শীর্ষ অবকাঠামো ঝুঁকিপ্রবণ প্রতিষ্ঠানের ধরণ, শীর্ষ আক্রমণের ধরণ সণাক্তরণ এবং সম্ভাব্য আক্রমণ কারীদের তালিকাও দিয়েছে বিজিডি ই গভঃ সার্ট।
বলা হয়েছে, সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিপ্রবণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পর্যায়ক্রমে রয়েছে, সরকারি, সামরিক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ব্যাংকিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ফার্মাসিউটিক্যালস, খুচরা কারবারি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং জ্বালানি ও শিক্ষা খাত।
আর বাংলাদেশের সাইবারস্পেসে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা আক্রমণের ধরণের শীর্ষে রয়েছে ডিডস। সংস্থাটির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বেড়েছে র্যানসম আক্রমণ। ঈদের ছুটিতে ওয়েব শেল ইনজেকশন কৌশল ওয়েব ডিফেসমেন্টস ব্যবহার, এআই টুল ব্যবহার করে পরিশীলিত ফিশিং, গোপনীয় তথ্য চুরিকে পটু ‘রেডলাইন স্টিলার’ এবং এপিটি ক্যাম্পেইন চলছে।
এছাড়াও দক্ষিণ এশিয়া ভিত্তিক আন্ডারগ্রাউন্ড হ্যাকার দল, স্ক্রিপ্ট কিডিস, ‘মানি মেসেজ’ ও ‘আকিরা’ এর মতো র্যানসামওয়্যার ও এপিটি থ্রেট সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
এরপর ডিএনএস, এনটিপি এবং নেটওয়ার্ক মিডলবক্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি সুরক্ষিতভাবে কনফিগার করা এবং ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হচ্ছে না তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকার বেশ কয়েকটি নের্দেশনা দিয়েছে বিডিজিডি ই-গভঃ সার্ট।