সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মধ্যস্থতায় তিনি শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) ৩টা ১০ মিনিটের দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিয়ে আলোচনার জন্য ঢাকায় ডাকেন।
এ সময় আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দলে কারা থাকবে এবং অন্যান্য প্রস্তুতি শেষ করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এক ঘণ্টার সময় চান শিক্ষার্থীরা। তবে পরে ঢাকায় গিয়ে নয়, সিলেটে অথবা ভিডিও কনফারেন্সে এই আলোচনা করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে ক্যাম্পাসে যান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ কয়েকজন নেতা। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তারা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের বাসভবনেও যান।
এদিকে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বৃহস্পতিবার রাতে ৪ জনকে হাসপাতালে ও ১০ জনকে অনশনস্থলে স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে শুক্রবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও এখনো তারা অনশন ভাঙেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও অসুস্থ এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন।
পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে ১৯ জানুয়ারি অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এ প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে গত ৪ দিন ধরে ভিসির বাসভবনের সামনে অনশন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে পালা করে তাদের সহপাঠীরা থাকছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে দিনগত রাত ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন।