খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রকল্পের উদ্যোগে খুলনার দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষণীয় ও সৃজনশীল দেয়াল চিত্র প্রদর্শনী সেন্টার ফর সাসটেইনেবল হেলদি অ্যান্ড লার্নিং সিটিস অ্যান্ড নেবারহুডস (এসএইচএলসি) প্রকল্প। সেমবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্থানীয় জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ডঃ মোঃ আশিক-উর-রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সাদিকুর রহমান খান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামসুল আলম মিয়া স্বপন।
আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠানের সভাপতি জানান, আন্তঃদেশীয় গবেষণা প্রকল্প এসএইচএলসি এর আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিন উন্নয়নশীল দেশগুলির স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নগরায়নের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে সেগুলোর টেকসই সমাধান নিয়ে গত চার বছর কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের খুলনার প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরের শিশুদের স্কুলে সক্রিয় শিক্ষার পরিবেশ আরও উন্নত করার জন্য স্কুলে দেয়াল-চিত্রাঙ্কন এবং শিশুদের জন্য গত দুই মাস ব্যাপী চিত্রাঙ্কন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কর্মশালা চলাকালীন চিত্রকর্ম গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের এলাকার স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নগরায়নের সমস্যাগুলি তুলে ধরে। একই সাথে SHLC গবেষণা ফলাফল কাজে লাগিয়ে, এরশাদ আলী ও ইসলাম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষণীয় ও সৃজনশীল দেয়াল চিত্র অঙ্কন করা হয়।
এ উদ্যোগ মনজাগতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, স্কুল শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণাত্মক চিন্তা করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং অংকিত দেয়াল-চিত্রাঙ্কন গুলি শিক্ষা বান্ধব পরিবেশকে আরও উন্নত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আয়োজকরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অংশের প্রকল্প পরিচালক ডঃ শিল্পি রায় জানান যে, স্কুল কার্যক্রমে শিশুদের সৃজনশীল অংশগ্রহন এবং তাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সম্পর্কে মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন ভূয়সী প্রশংসাযোগ্য। এ ধরনের কার্যক্রম গবেষণা পরিমণ্ডলকে বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে টেকসই নগরায়নের বার্তা পৌঁছে দিবে। এ বিষয়ে সাজ্জাদ নামের শিক্ষার্থী তার আনন্দ অনুভুতি প্রকাশের এক পর্যায়ে বলে যে, আমরা এখন থেকে খেলতে খেলতে শিখবো। অপর একজন শিক্ষার্থী শ্রাবণী জানায় যে, চিত্রাঙ্কন কর্মশালায় অনেক রং দিয়ে ছবি আঁকা যেমন আনন্দের ছিল, তেমনি ভাবে আঁকাআঁকির মাধ্যমে নিজের এলাকার সমস্যা তুলে ধরার বিষয়টি খুবই চমকপ্রদ ছিল।