বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশের প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ”।
বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে ২০৪১-এ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিডিইউ এর ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন উপাচার্য।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মুহাম্মদ শাহীনূল কবীর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আখতারুজ্জামান ( শিক্ষক চুক্তিভিত্তিক) সহকারী অধ্যাপক মোঃ আশরাফুজ্জামান, প্রোগ্রামার অনিত কুমার রায়সহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য আরো বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত ও ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন।
অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব প্রদানের উপযোগী করে গড়ে তুললে আমার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই প্রত্যেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ই-মেইল, ওয়েবসাইট, ভার্চুয়াল মেশিন প্রদান করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়েছে লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এল এমএস), আইওটি ও অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাবসহ বিভিন্ন ল্যাব।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উপযোগী দুটি প্রোগ্রাম ইন্টারনেট অব থিংস ও আইসিটি ইন এডুকেশন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ডেটা অ্যানালাইসিস এন্ড ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম চালু করার বিষয়টি।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রোগ্রামের বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা প্রবন্ধ উপস্থাপন উপস্থাপন করেন। যেখানে আইসিটিই প্রোগ্রামের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোসাঃ রাকিবা খানম জিসা প্রথম স্থান , একই প্রোগ্রামের হাসিবুল আলম প্লাবন দ্বিতীয় স্থান এবং আইওটি প্রোগ্রামের ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরিফুজ্জামান রিপন তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।তার মধ্য্ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে কে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে।